কদিনের বিশ্রামে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড বেশ সবুজ হয়ে উঠেছে। খেলা শুরুর পর আউটফিল্ড ধীরে ধীরে আবার ধূসর-বাদামি হয়ে যাবে কি না কে জানে! আউটফিল্ডের চেহারা যেমনই হোক উইকেটের চরিত্র যেন বাংলাদেশের কাছে রহস্যময় না হয়! বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্টের চাওয়া এটিই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে বাংলাদেশ কোন ছকে এগোব, সেটি এখনই বলা কঠিন। তবে সবশেষ তিন টেস্টে মিরপুর হতাশ করেনি বাংলাদেশকে। ২০১৫ সালের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টটা ড্র করেছিল বাংলাদেশ। যদিও সেটিতে বৃষ্টির অবদানই বেশি। তবে প্রকৃতির কোনো সহায়তা ছাড়াই ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ড ও ২০১৭ সালের আগস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গৌরবগাথা লিখেছিল বাংলাদেশ। গত দুই বছরের পরিসংখ্যানে চোখ বুলিয়ে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে উচ্চকণ্ঠে বলতে পারছে, আমরা কিন্তু মিরপুরে জিততেই পারি।  মুশফিকুর রহিমের ভাবনাটাও তেমনই, ‘এই মাঠে আমাদের ভালো দুটি স্মৃতি আছে। খুব বেশি দিন হয়নি। আমাদের বোলাররা যদি তেমন সুবিধা পায়, ব্যাটসম্যানদের জন্য যদিও কঠিন হবে। তবুও ভালো কিছু করা সামর্থ্য আমাদের আছে। যেটি চট্টগ্রাম টেস্টে আমাদের ব্যাটসম্যানরা করে দেখিয়েছে। এটার প্রতিফলন আশা করি এই টেস্টে দেখতে পাবেন।’  তাহলে কী মিরপুরে জয়ই দেখছেন মুশফিক? কিংবা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়? মুশফিক হ্যাঁ-সূচক মন্তব্যই করলেন, ‘অনেক ইতিবাচক দিক ছিল চট্টগ্রাম টেস্টে। ব্যাটসম্যানরা সুযোগ কাজে লাগিয়েছে ভালোভাবে। মুমিনুল-লিটন ভালো ব্যাটিং করেছে। তামিম ভালো শুরু এনে দিয়েছে। এই টেস্টটা ভালো করতে মুখিয়ে আছি। সুযোগ আছে ১-০ ব্যবধানে সিরিজটা জিতে নেওয়ার।’  মুশফিক যে শ্রীলঙ্কাকে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন শ্রীলঙ্কাকে, চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও পাল্টা বলতে পারেন, ‘ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যে অমর কাব্য তোমরা রচনা করেছে, সেটির অংশ কিন্তু আমিও ছিলাম!’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn