জামালগঞ্জ :: জমির খাজনা দেয় উপজেলা পরিষদ, আর বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আছেন জামালগঞ্জ উপজেলা আ‘লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। তিনি দলীয় ক্ষমতার দাপটে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের জায়গায় এই বাড়ি নির্মাণ করে বে-আইনী ভাবে দখল করে রেখেছেন। অথচ এই জায়গাটি জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের। এই বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করে জায়গা দখল করায় অবৈধ দখল উচ্ছেদে জেলা প্রসাশক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার জামালগঞ্জ উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামের শাহ মো. আবুল কাশেম জেলা প্রশাসক বরাবরে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জামালগঞ্জ থানাধীন ১৮নং জে-এল সংক্রান্ত কামলাবাজ মৌজার এসএ খতিয়ান নং ৮৩২,আর এস ১৩০৩ খতিয়ানের এসএ-৩৭৬১, আরএস-৭২৪৫দাগে জমির পরিমান-০. ১৬ একর ভূমি এল এ কেইস নং ০১/৬৫-৬৬ মূলে টিডিসি,জামালগঞ্জ এর নামে অধিগ্রহন করা হয়। যথারীতি তাহা গ্রেজেট ও প্রকাশিত হয়েছে। সেই সাথে ১২৯৫নং নামজারি খতিয়ানে সৃজন করা হয়েছে। যা এসএ ৩৭৬১ দাগের ভূমি উপজেলা পরিষদের অধিগ্রহনকৃত হওয়ায় ভূমি মোকাদ্দমা নং ০৬/২০০৫মূলে উপজেলা পরিষদের নামে ২নং খতিয়ানে রেকর্ড সংশোধন করা হয়েছে। বর্তমানে এস.এ ৩৭৬১ নং দাগটি হালে ৭২৪৫ দাগে ভূমিতে উপজেলা পরিষদ জামালগঞ্জ দখলকার থাকিয়া যথারীতি ভূমি উন্নয়ন করও পরিশোধ করে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, জামালগঞ্জ সদরের বাসিন্দা মৃত আব্দুল লতিফ তালুকদারের ছেলে বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী একজন ধণাঢ্য ও প্রভাবশালী লোক হওয়ায় সরকারি ভূমিতে বৈআইনী ভাবে অভিজাত ভবন নির্মাণ করে দখল করে রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে এতোদিন মোহম্মদ আলী বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলতে সাহস পায়নি। জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দাখিলের পর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ফেসবুকে নানা প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে। সরকারি ভূমিটি সার্ভেয়ার নিয়োগ করে এসএ ৩৭৬ দাগের সরকারি ভূমি পরিমাপ করে জোরপূর্বক ভাবে দখলদার মোহাম্মদ আলীর অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে সরকারি সম্পত্তি রক্ষার জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, অভিযোগটি দেখে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শফিউল আলম বলেন, লিখিত অভিযোগটি এখনো আমার হাতে পৌঁছেনি। অভিযোগটি হাতে এলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn