সিরিয়ার আফরিন শহরে কুর্দি বিদ্রোহীদের সংগঠন ওয়াইপিজে ও জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ২৬০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের সবাই কুর্দি বিদ্রোহী ও আইএস যোদ্ধা বলে দাবি করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী।  স্থানীয় সময় মঙ্গলবার তুরস্কের সেনাবাহিনী দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য দেওয়া হয়। ওই বিবৃতির বরাত দিয়ে বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কুর্দি অধ্যুষিত আফরিন শহরে চারদিন ধরে অভিযান চালাচ্ছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। গত সোমবার থেকে অভিযান জোরদার করে তারা। এই চার দিনের অভিযানে ২৬০ জন নিহত হয়।   এদিকে সিরিয়ায় ওয়াইপিজি বাহিনীর বিরুদ্ধে তুরস্কের অভিযান শুরু পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে দেশটির। অভিযোগ ছিল তুরস্কও। তারা জানায়, আইএসবিরোধী লড়াইয়ের সময় থেকে আফরিনের কুর্দি ওয়াইপিজি গেরিলাদের সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, আফরিনের তুর্কি বাহিনীর এ অভিযানের বিষয়ে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ  তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারেন। এর আগে এরদোয়ান এক বিবৃতিতে জানান, তারা যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও সিরিয়া সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘাতে জড়াতে চান না। তবে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তারা তা করবেন। ওই বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা পরেই সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনীর অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁ। এর প্রতিক্রিয়ায় এরদোয়ান বলেন, বেসামরিক মানুষদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও। তিনি সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে এরদোয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। 
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn