সিলেটজুড়ে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায় সক্রিয় অন্তত ২৬ ব্যবসায়ী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে ওঠেছেন। অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মদদ দিচ্ছেন বি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতারা। অবৈধ অস্ত্র সম্পর্কিত একটি গোপন প্রতিবেদন সম্প্রতি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জমা দিয়েছে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। ওই প্রতিবেদনে সারাদেশের ৪৬২ জন অবৈ ধ অস্ত্র ব্যবসায়ীর কথা উল্লেখ রয়েছে। তন্মধ্যে সিলেট বিভাগের তিনটি জেলার ২৬ জন রয়েছেন।সিলেট বিভাগে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জন সিলেট জেলার। এছাড়া সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার সমান ৮ জন করে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীর তথ্য ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।এসব অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এবং সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় অসাধু সদস্যের সহযোগিতায় সীমান্তের ওপার থেকে বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসছে। এসব মারণাস্ত্র ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দলীয় ক্যাডার, চরমপন্থি ও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের হাতে।
এ প্রসঙ্গে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সীমান্তের কোন কোন এলাকা দিয়ে অস্ত্র ঢুকছে তা আমরা জানি। তবে ঠিক কোন রাস্তা দিয়ে অস্ত্র ঢুকছে তা বলা যায় না।  র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য এ বিষয়টিতে সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিয়ে কাজ করছেন। কারণ, র‌্যাব সৃষ্টির সাতটি ম্যান্ডেটের মধ্যে অস্ত্র অন্যতম।’পুলিশ সদর দফতরের উপমহাপরিদর্ শক (ডিআইজি-ক্রাইম) রৌশন আরা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে অভিযান আমাদের একটি রুটিনওয়ার্ক। রুটিনওয়ার্কেও মাঝেমধ্যে বড় ধরনের সাফল্য আসে। তবে মাঠপর্যায়ে কোনো ইউনিট যদি প্রয়োজন অনুভব করে তখন সেখানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সে ক্ষেত্রে তারা পুলিশ সদর দফতরকে অবহিত করেই অভিযান পরিচালনা করে।’এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকেন্দ্রিক অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযানও অনেকটা রেগুলার ওয়ার্ক। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন থেকেও পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়।’

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn