সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারে পাষন্ড পুত্রের হাতে গর্ভধারিনী জননী খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সৌদি আরব ফেরত পুত্র ধারালো চাকু দিয়ে মাকে গলা কেটে হত্যা করেছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের কামারগ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। পুত্রের হাতে খুনের শিকার ছয়মুন বিবি (৫৫) ঐ গ্রামের তাহির আলী সুন্দরের স্ত্রী। নৃশংস এ ঘটনার সংবাদে উৎসুক হাজারো লোকজন ঐ বাড়িতে ছুটে যান। পুলিশ ঘাতক কামাল হোসেনকে (২৮) হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু সহ আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।

জানা যায়, স্থানীয় কামার গ্রামের তাহির আলী সুন্দর ও ছয়মুন বিবি দম্পতির দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে ঘাতক কামাল হোসেন (২৮) দ্বিতীয় পুত্র। সৌদি আরব প্রবাসী কামাল হোসেন দুই সপ্তাহ পূর্বে দেশে এসেছে। এরই মধ্যে কামালের সাথে ঝগড়া করে তার স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যায়। বাপের বাড়িতে আটকে থাকা স্ত্রী কে ফিরিয়ে আনা নিয়ে মা ছয়মুন বিবির সাথে ঘটনার সময় বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয় কামাল। এক পর্যায় উত্তেজিত হয়ে মাকে দুই পায়ের হাঁটুর মধ্যে চেপে ধরে ধারালো চাকু দিয়ে নির্মম ভাবে গলা কেটে হত্যা করে। মা কে হত্যা করে ঘাতক পুত্র কামাল ব্যবহত চাকু হাতে নিয়ে ঘরের একটি কক্ষে দরজা-জানালা ভিতর থেকে বন্ধ করে বসে থাকে। নৃশংস এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে আশপাশের অঞ্চল থেকে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।

খবর পেয়ে প্রথমে চারখাই পুলিশ ফাঁড়ি থেকে একদল পুলিশ ছূটে গিয়ে ভিতরে থাকা ঘাতককের ঘর ঘিরে রাখে। পরে বিয়ানীবাজার থানা থেকে ওসি তদন্ত জাহিদুল ইসলাম সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘাতক কামাল হোসেন কে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু সহ আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল মুন্সি বলেন, চারখাইয়ে পুত্রের হাতে মা খূনের সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ঘাতক পুত্র কামাল হোসেন কে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু সহ আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn