বার্তা ডেক্সঃ  সিলেটে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটি। আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে এ ধর্মঘট ডেকেছেন তারা। এরআগে ১৮ জানুয়ারি থেকে সব ডিপ হতে জ্বালানী তেল উত্তোলন বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে চলা জ্বালানী তেলের সঙ্কট দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার অভিযোগ এনে শনিবার এই কর্মসূচী ঘোষণা করে সংগঠনটি।

পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির নেতারা জানান, এক বছরের অধিক সময় ধরে সিলেটের পেট্রল পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্থানীয় পরিশোধনাগার বন্ধ থাকা, রেলের ওয়াগন সংকট ও শীত মৌসুমে চাহিদা বাড়ায় সম্প্রতি এই সংকট আরো বেড়েছে। জ্বালানি তেল সংকট নিরসনে সিলেটের পরিশোধনাগারগুলো চালুর দাবিতে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। কিন্তু নানা অজুহাতে বন্ধ রাখা হয়েছে শোধনাগারগুলো। ফলে সঙ্কটেরও সমাধান হচ্ছে না। এ কারণে বাধ্য হয়ে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

এই সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের চার জেলায় ১১৪টি পেট্রল পাম্প রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট মহানগরীতে ৪৫ টিসহ জেলায় আছে ৭০টি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘সিলেটে জ্বালানি তেল সরবরাহ ওয়াগন নির্ভর হওয়ায় আমাদেরকে প্রায়ই এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। তিনি বলেন, সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাসের সঙ্গে যে উপজাত (কনডেনসেট) পাওয়া যায় তা আগে সিলেটের প্লান্টগুলোতেই জ্বালানি তেলে রূপান্তর করা হতো। তবে প্রায় দেড় বছর থেকে সরকারি এই প্লান্টগুলো বন্ধ থাকায় এ সংকট কাটানো যাচ্ছে না।

চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় সিলেটের ব্যবসায়ীদের ভৈরব থেকে নিজ খরচে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে বাড়ছে পরিবহন ব্যয়। এছাড়া সরবরাহ কম থাকায় বিভাগের সব পেট্রোল পাম্পগুলো কম তেল নিয়ে চলছে। সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে ডিজেলের। চাহিদার অর্ধেক ডিজেলও মিলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই সমস্যা সমাধান না হওয়ায় ২২ জানুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বানের কথা জানিয়ে জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, বার বার সংশ্লিষ্টদের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন সমাধান আসেনি। তাই বুধবার থেকে ডিপো হতে তেল উত্তলন বন্ধ থাকবে। আর ২২ জানুয়ারি থেকে সিলেটের সকল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn