জানাযায়,হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার প্রবাধ আছে মৎস,পাথর ও ধান সুনামগঞ্জের প্রান। কিন্তু এই প্রান (বেরো ধান) প্রতি বছর থাকে আতœংকের মধ্যে। প্রতি বছর হাওরের বাঁধ নির্মানে অনিয়ম আর পুকুর চুরির কারনে এবার হাওরবাসীর কষ্টের ফলানো বোরো ধান গোলায় তুলতে পারে নি জেলার ৮০ভাগ কৃষক। এই জেলায় বোরো ধানেই একমাত্র সম্পদ আর বেশি ফলায় কৃষকরা। কারন বছরের ৬মাস বিশাল হাওর পানিতে জলমগ্ন থাকে বাকি ৬মাস এক ফসলী বোরো ধান চাষাবাদ করেই হাওরবাসী জীবন-জীবিকা পরিচালিত হয়। জেলা তাহিরপুর,দোয়ারা বাজার,বিশ্বাম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকার মাটিতে রোপা আউশ ও আমন চাষের উপযুগী। এই সব এলাকার জমির প্রকৃতি উচুঁ হওয়ায় এই এলাকার কৃষকগন সব ধরনের ধান চাষ করে থাকে। সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্য্যালয় সুত্রে জানাযায়,বোরো মৌসুমের শেষে আমন চাষ করে থাকে সীমান্ত এলাকার কৃষকগন। এ সময় ঝড়-বৃষ্টি,শিলা বৃষ্টি,পোকামাকড়ের আক্রমন,রোগবালাই ও প্রাকৃতিক দূযোর্গের আশংকা থাকে না। ফলে রোপা আউশ ও আমনের ফলন ভাল হয় আর কৃষকরা চাষাবাদ করে বেশ লাভবান হন। ব্রি ৩৩ ও বিণা-৭ এ দুটি জাত স্বল্প মেয়াদী। অন্যন্য জাতের ধান যেখানে পাকতে সময় লাগে ১৪০দিন থেকে ১৫০দিন সেখানে ব্রি ৩৩ ও বিণা পাকতে সময় লাগে ১০০দিন থেকে ১১০দিন। প্রতি ১কেয়ার (৩০শতাংশে) ১২-১৬মনের অধিক ধান পাওয়া যায়।

এ বছর জেলায় দোয়ারা বাজার উপজেলা,সুনামগঞ্জ সদর,বিশ্বাম্ভরপুর সহ ১১টি উপজেলায় ৭৪৯৭০হেক্টর আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে তাহিরপুরে ৫হাজার ৫শত হেক্টরের অধিক জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। অধিকাশং এলাকায় ২০ভাগ কাটা শুরু হয়েছে। জেলার সীমান্ত এলাকার ঘুরে রহিম উদ্দিন,আব্দুল মোতালেব,সাদেক আলীসহ একাধিক কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,এখন পাকা আমন ধান কেটে রোদে শুকিয়ে গোলায় তুলতে ব্যস্থ সময় পার করছি। এই ধান কাটার পর এই জমিতেই আবার তরমুজ,বাঙ্গি ও শীতকালীন সবজি সহ বিভিন্ন চাষাবাদ শুরু করব। কৃষি অফিসের পরামর্শ পেয়েছি আরো সরকারী সুযোগ সুবিধা পেলে আরো ভাল ফলন করতে পারব।

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম জানান,এ বছর উপজেলায় ১২হাজার একর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। ফলন ও ভাল হয়েছে। কারন বোরো ফসলের মত পানিতে বা অন্য কোন প্রকৃতিক দূযোগ্যে ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই। অন্যান্য জায়গায় ধানের ৩-৪বার চাষ হয় কিন্তু বোরো প্রধান সুনামগঞ্জে ১বার তাও শুধু বোরোই চাষ করা হয়। আমরা আমাদের সর্বচ্চো চেষ্টা দিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি সীমান্ত এলাকায় ভাল পরিমানে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন,সীমান্তে বসবাসকারী কৃষকরা খুবেই পরিশ্রমি তারা সীমান্তের অনেক অযোগ্য জমিকে চাষ যোগ্য করেছে। কৃষি কর্মকর্তাগন সীমান্ত এলাকায় কিভাবে চাষাবাদ করে আরো বেশি ধান উৎপন্ন করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দিলে কৃষকরা আরো লাভবান হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn