সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার গনিপুরে নারী নির্যাতন মামলার এক আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে দুবৃত্তরা। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলমগীর বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪৮ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।  শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এ মামলা দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিবুল্লাহ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার সময় যাদের ধরা হয়েছিল তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যেসব নাম পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধেই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার গনিপুর গ্রাম থেকে নারী নির্যাতন মামলার আসামি, গনিপুর মসজিদের ইমাম আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে থানায় নিয়ে আসার সময় পুলিশের ওপর হামলা হয়। পুলিশ জানায়, আতাউরকে গ্রেফতার করে সদর থানায় নিয়ে আসার পথে আতাউরের স্বজন ও গনিপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি আতাউরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ছয় জন কে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আতাউর রহমানের স্ত্রী, সদর উপজেলার শাখাইতি গ্রামের মাওলানা রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে হাবিবা আক্তার বাদী হয়ে তার স্বামী, দেবর কামরুল, শশুর আবুল কাশেম ও ননদ সূচনা বেগমকে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি আতাউর ও তার স্বজনরা পলাতক ছিলেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, হাবিবার দেবর কামরুলকে বিদেশে পাঠানোর জন্য নগদ তিন লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে চাপ দেয় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় হাবিবাকে নির্যাতন করা হয়

আটক ৬

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নারী নির্যাতন মামলার আসামি আতাউর রহমান কে গ্রেপ্তারে সুনামগঞ্জ পৌরসভার গনিপুর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। তিনি গনিপুর মসজিদের ইমাম। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সদর উপজেলার শাখাইতি গ্রামের মাওলানা রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে হাবিবা আক্তার বাদী হয়ে তার স্বামী আতাউর রহমান, দেবর কামরুল, শ্বশুর আবুল কাশেম ও আবুল কালাম এবং ননদ সুচনা বেগমকে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি আতাউর ও তার স্বজনরা পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হয়।  আসামি গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়ার সময় আসামির স্বজন ও গনিপুর গ্রামের কিছু লোক পুলিশের উপর হামলা করে মূল আসামি আতাউরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন থানার ওসি মো. শহীদুল্লাহ। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে। পরে ঘটনার সময় আটক করা ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যেসব নাম পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধেই আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানা যায়।

প্রসঙ্গত, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার গনিপুর গ্রাম থেকে নারী নির্যাতন মামলার আসামি, গনিপুর মসজিদের ইমাম আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে থানায় নিয়ে আসার সময় পুলিশের ওপর হামলা হয়। তাকে থানায় নিয়ে আসার পথে আতাউরের স্বজন ও গনিপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি আতাউরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ছয় জন কে আটক করে পুলিশ।

 এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আতাউর রহমানের স্ত্রী, সদর উপজেলার শাখাইতি গ্রামের মাওলানা রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে হাবিবা আক্তার বাদী হয়ে তার স্বামী, দেবর কামরুল, শশুর আবুল কাশেম ও ননদ সূচনা বেগমকে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে আসামি আতাউর ও তার স্বজনরা পলাতক ছিলেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, হাবিবার দেবর কামরুলকে বিদেশে পাঠানোর জন্য নগদ তিন লাখ টাকা বাবার বাড়ি থেকে এনে দিতে চাপ দেয় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় হাবিবাকে নির্যাতন করা হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn