সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সারোয়ার আজাদের দায়েরকৃত সাজানো মিথ্যা এসিড মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ বিচারাধীন এসিড ১/২০১৪ নং মামলার রায়ে  তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে,সীমান্ত চোরাচালান, চাঁদাবাজি ও জুয়ার বোর্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারী মাইটিভি ও দৈনিক মানবকণ্ঠের সাবেক সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার ওপর হামলা করে  হাবিব সারোয়ার আজাদ ও তার  বাহিনী। এঘটনার প্রেক্ষিতে সাংবাদিক মোজাম্মেল হাবিব সারোয়ার আজাদ সহ কয়েকজনকে আসামী করে আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলা থেকে রেহাই পাওয়ার অসদুদ্দেশ্যে আজাদ তার নিজের ছেলে শিহাব সারোয়ার শিপুকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে  সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াকে আসামী করে এসিড অপরাধ দমন আইনে পাল্টা মামালা দায়ের করেন। পরে আসামীর বিরুদ্ধে ভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ এর কাছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখা একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ঐ প্রতিবেদনে কথিত এসিড সন্ত্রাসের সাথে আসামী মোজাম্মেল আলম ভূইয়ার নূন্যতম সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞ বিচারক দীর্ঘ ৯ বছর এই মামলাটি মনোযোগ সহকারে বিশ্লেষন করে মামলার একমাত্র আসামী সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়াকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। সাংবাদিক মোজাম্মেলের পক্ষে আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান। এবং বিভিন্ন সময় তাকে সহযোগীতা করেছেন সিনিয়র আইনজীবি হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, এডভোকেট পীর মতিউর রহমান, এডভোকেট প্রদীপ কুমার নাগ হারু ও নজরুল ইসলাম শেফুসহ আরো একাধিক আইনজীবি।

এ ব্যাপারে এডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এই মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ সাজোনো মিথ্যা মামলা। সাক্ষী-প্রমাণ দ্বারা আমরা বিজ্ঞ আদালতে প্রমাণ করতে পেরেছি এটি একটি সাজানো মিথ্যা মামলা। এই রায়ের মাধ্যমে সত্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্টিত হয়েছে। এজন্য আমরা আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের প্রতি সন্তুষ্ট ও কৃতজ্ঞ।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn