সুনামগঞ্জ :: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় এক হতদরিদ্রের স্ত্রীকে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ধর্ষণ করার চেষ্টার পরও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নির্যাতিতার পরিবার।  শনিবার বেলা ২ টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নির্যাতিতার পরিবার এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।  পরিবারের অভিযোগ, আনন্দপুর গ্রামের প্রজেশ দাস ওই হতদরিদ্রের স্ত্রীকে তার অনুপস্থিতিতে কয়েক দফা ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এর প্রতিকার চেয়ে দুই দফা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও মামলা রেকর্ড করেনি শাল্লা থানাপুলিশ। উল্টো মামলা রেকর্ড করার নামে নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি তদন্তকারী কর্মকর্তার। টাকা না দেয়ায় মামলা না করার হুমিক দিচ্ছেন শাল্লা থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মিয়া। কোনো উপায় না পেয়ে আইনী সহযোগিতার প্রার্থনা করে জেলা শহরে এসে স্বপরিবারে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী নারী, স্বামী, শ্বাশুরি, দুই শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন।   

ভুক্তভোগীর স্বামী অজিত দাস বলেন, আমি একজন দিনমজুর। সপ্তাহের বেশিরভাগ সময়ই বাহিরে থাকি। এই সুযোগে প্রতিবেশি মধু দাশের ছেলে প্রজেশ দাস আমার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। রাতে ঘরে ডুকে একাধিকবার আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। আমি এ ব্যাপারে দুইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। থানা আমাকে কোনো সহযোগিতা না করে বরং আসামির পক্ষ নিয়ে মামলা তুলে নেয়ার কথা বলছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করছেন। আমি অসহায় গরীব মানুষ। আমার কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। নিরুপায় হয়ে পরিবার নিয়ে মানববন্ধনের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রার্থনা করছি।     এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, নির্যাতিতা তার এজহারে যে যাদেরকে সাক্ষী করেছেন তাদরে কেউই অভিযোগের পক্ষে সাক্ষী দেননি। তারপরও আমরা বিষয়টি অন্য একজন এসআইকে দায়িত্ব দিয়ে তদন্ত করবো।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn