সুনামগঞ্জ থেকে আল-হেলাল : সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২০১৬ইং সনের ২৯ ডিসেম্বরের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগকারী অতি মুনাফালোভী কয়েকজন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদেরকে ব্যালটভোটে প্রত্যাখ্যান করার দাবী জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা। তারা বলেন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান কয়েকজন কাউন্সিলর শহরের সবচেয়ে পরিচিত হেরোইনসেবী, মাদকসেবী,একাধিক মামলার আসামী সন্ত্রাসী, এমনকি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামীও রয়েছেন। এসব পুরুষ ও মহিলা কাউন্সিলররা তাদের মাইকিং প্রচারণায় যখন দাবী করেন তারা সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত ওয়ার্ড গড়বেন তখন ভোটাররা রীতিমতো বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।
এছাড়া পরিচিত সন্ত্রাসী ও মাদক সেবীরা মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লিফলেট ও প্রচারণায় নিজেদেরকে নীতিবান হিসেবে প্রচার করলেও ভোটাররা তাদেরকে ভাল করে চেনেন। পৌর নাগরিকরা বলেন, এরাতো ঐসব কাউন্সিলর যাদেরকে ভোট দিয়ে আমরা নির্বাচিত করেছিলাম। এ সুযোগে তারা গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ২৪ জন চেয়ারম্যান,মহিলা সদস্য ও পুরুষ সদস্য পদপ্রার্থীদেরকে নির্বাচিত করার কথা বলে প্রার্থীদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা থেকে লক্ষাধিক টাকা হারে হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন রেটে প্রত্যেকে গরু ছাগলের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের হাটে বিক্রি হয়েছিল। টাকার বিনিময়ে ভোটবিক্রির ট্র্যাডিশন এরাই সুনামগঞ্জে চালু করেছে। এদের চাইতে বড় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ও ভোটের বেপারী আর কে হতে পারে। এসব অসৎ কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলররা চেয়ারম্যান পদে ১টি,মহিলা সদস্যা পদে ১টি এবং ওয়ার্ড সদস্য পদে ১টি হিসেবে মোট ৩টি ভোট দিয়েছিল কিন্তু জেলা পরিষদ নির্বাচনে এরা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মোট ২৪ জন প্রার্থীদের কাছ থেকে।
অনেক প্রার্থীরা নির্বাচনের পর তাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করেছেন আবার অনেকে পারেননি। জেলা পরিষদ নির্বাচনের অনেক অসহায় প্রার্থীরা বাড়ি জমি বিক্রয় করে ঐসব লোভী কাউন্সিলর ভোটের বেপারীদেরকে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সকল প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে হজম করলেও বিক্রিত ভোট না দিয়ে এরা প্রার্থীদের সাথে প্রতারনা করেছে। তাই বর্তমান পরিষদের দুর্নীতিবাজ সুবিধাভোগী ঐসব কাউন্সিলরদের চিহ্নিত করার সময় এখনই। এদেরকে ব্যালট ভোটে প্রতিহত করার দায়িত্ব সুনামগঞ্জ পৌরসভার সচেতন ভোটারদেরকেই নিতে হবে। এছাড়া যেসব কাউন্সিলরদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী রয়েছে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে।
শহরজুড়ে মাইকযোগে প্রচারণা চালাতে গিয়ে ঐসব কাউন্সিলররা সুবিধা নিচ্ছে। তাই অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হবার জন্য পৌরবাসীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন নবাগত প্রার্থীরা। তারা বলেছেন,বর্তমান অতি মুনাফালোভী কোন কোন কাউন্সিলররা গত ৫ বছরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা কামাই ছাড়াও গত ৫ বছরে বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা, ভিজিডি,ভিজিএফ কার্ড,মাতৃশিশু ভাতাসহ নাগরিক সেবার বিভিন্ন কাজে পৌরবাসীর কাছ থেকে আর্থিক ফায়দা নিয়েছেন। দুহাত ভরে অবৈধ টাকা কামাই করতে গিয়ে এরাই শহরে নিজেদের নামে ঢাকঢোল পিটাচ্ছেন বেশী। তাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন রেটে টাকা গ্রহনকারী অতি সুবিধাভোগী এসব পুরুষ ও মহিলা কাউন্সিলরদের চিহ্নিত করে ব্যালট ভোটে প্রতিহত করার দাবী জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার সচেতন নাগরিকরা।
সংবাদ টি পড়া হয়েছে :
৪২ বার