সৌদি আরবের নারীরা যেন রাস্তায় নিরাপদে গাড়ি চালাতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করছে দেশটির ট্রাফিক বিভাগ এবং সড়কের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীরা। তবে নারীদের গাড়ি চালানোর বিষয়কে কেন্দ্র করে আরও বেশকিছু প্রশ্ন সামনে চলে আসছে। সৌদি আরবের বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, নারীরা গাড়ি চালানোর ফলে ১৩ লাখের মতো বিদেশি চালককে সৌদি আরব ছেড়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। একজন চালক যে বাৎসরিক ১২ হাজার সৌদি রিয়াল বেতন হিসেবে পান, সেটা খরচ করতে হচ্ছে না দেশটিকে। এছাড়া তাদের জন্য খাবারসহ অন্যান্য সুবিধাদি দেয়ার খরচও বেঁচে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, এতে করে ৩৩ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল দেশটির অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। জানা গেছে, দেশটির ৬৬ দশমিক সাত শতাংশ ব্যক্তি কাজের লোক নিয়োগ দেয়। এছাড়া ৮৭ দশমিক দুই শতাংশ পরিবারে ব্যক্তিগত চালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সেখানে বিপুল খরচে চালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে নারীরা গাড়ি চালাতে শুরু করলে এই ১৩ লাখ চালক বেকার হয়ে পড়বে। সে ক্ষেত্রে তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তবে এসপিএ জানিয়েছে, সেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি এবং মোটরসাইকেল চালানোর লাইসেন্স পেতে ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স হতে হবে। অবশ্য রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত যানবাহন বা পাবলিক পরিবহণ চালানোর লাইসেন্স নিতে বয়স ২০ বছর হওয়া আবশ্যক। সে ক্ষেত্রে কারও বয়স ১৭ বছর হলে এক বছরের জন্য অস্থায়ী লাইসেন্স দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। নারীরা সে দেশের রাস্তার নিরাপত্তায় এবং নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকিতে বেসামরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। এর আগেও হজের সময় মক্কায় নারীরা এসব দায়িত্ব পালন করেছে। নারী এবং পুরুষের মধ্যে আলাদাভাবে কোনো আইন করা হয়নি। বলা হয়েছে, নারীরা চাইলে ট্রাক এবং মোটরসাইকেল চালাতে পারবে।সূত্র : আরব নিউজ

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn