উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে ‘ঘুষ’ না দেওয়ায় এক উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে (সেকমো) অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এমন অভিযোগ করা হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে। এর প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন ওই সেকমো। তিনি ওই হাসপাতালে অস্থায়ীভাবে কাজ করছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সংকট থাকায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহরের রাউতপাড়া এলাকার বাসিন্দা মিথুন চক্রবর্তীকে সেকমো পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব দেওয়া হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাকে মাসিক ৫ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হতো। এদিকে গত ৪ আগস্ট উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক পীযুষ কান্তি তালুকদার মিথুনকে জানান, হাসপাতালে কাজ করতে হলে ডা. এমরান হোসেনকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে (উৎকোচ) দিতে হবে। নইলে তাকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। কিন্তু মিথুন টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এরপর ৮ আগস্ট দুপুরে ডা. এমরান তাকে তার কক্ষে নিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

মিথুন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি প্রায় ছয় বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি। আমার সঙ্গে এমনটি হবে আশা করিনি। আমি ন্যায় বিচার চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের কাছে ডাকযোগে কয়েকদিন আগে লিখিতভাবে অভিযোগ পাঠিয়েছি।’ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে স্যনিটারী পরিদর্শক পীযূষ কান্তি তালুকদার বলেন, ‘আমাকে কেনো এতে জড়ানো হচ্ছে তা বুঝতে পারছিনা।’ এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, ‘কোনো বেতন নাই তাহলে সে জোর করে কাজ করতে চায় কেন? ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’ ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন কি না জানতে চাইলে তার জবাব এড়িয়ে যান তিনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn