হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও যুবদল নেতা ইউনুছ আলীকে (৩৫) পরিকল্পিতভাবে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে- এমন অভিযোগে ৭ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলা জজ আদালতে নিহতের স্ত্রী কাজী শাহেনা আক্তার বাদী হয়ে চার পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাত পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মামলাটি করেন। মামলায় আরও ৫-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রীর দাবি, তার স্বামী ইউনুছ আলীর বিরুদ্ধে মামলা থাকায় গত বছরের এক আগস্ট রাতে পুলিশ তাদের বাড়িতে যায়। তখন বাড়িতে তল্লাশির নামে শাহেনা আক্তারের শ্লীলতাহানি করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে তিনি মামলা করেন। এর জের ধরেই গেলো ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টায় শাহেনা আক্তারের স্বামী ইউনুছ আলীকে ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ মামলায় চুনারুঘাট থানার এসআই আতাউর রহমান, এএসআই দেলোয়ার হোসেন, এএসআই সাজিদ মিয়া, কনস্টেবল মনীন্দ্র চাকমা, কনস্টেবল আব্দুল হামিদ, কনস্টেবল নূরুজ্জামান ও এসআই ওমর ফারুককে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী কাজী শাহেনা আক্তার বলেন, পুলিশ তার স্বামীকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। এর বিচারের দাবিতে তিনি আদালতে মামলা করেছেন। মামলার আইনজীবী মো. সিরাজ আলী মীর জানান, সাবেক কাউন্সিলর ইউনুছ আলী হত্যার ঘটনায় নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যু ও নিবারণ আইনে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। আশা করি, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মামলার সুষ্ঠু বিচার হবে এবং ইউনুছ আলীর খুনিরা বিচারের মুখোমুখি হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn