জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে হাসি মুখে বেরুতে দেখা গিয়েছে। তা ছাড়া  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন জানান, খালেদা জিয়া আপাতদৃষ্টিতে ভালো আছেন। শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আবদুল্লাহ আল হারুন।আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, আমাদের এখানে খালেদা জিয়ার কয়েকটি এক্সরে করানো হয়েছে। রোববার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা তার অবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব। এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দুপুর পৌনে ২টার দিকে তাকে ফের ওই কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে শনিবার সকাল থেকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পুলিশের তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়। হাসপাতালের কেবিন ব্লকের চারপাশে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।

কারা কর্তৃপক্ষের অনুরোধে গত শনিবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শামসুজ্জামান নেতৃত্বে চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের অপর সদস্যরা হলেন— হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডা. টিটু মিয়া, নিউরোলজি বিভাগের ডা. মনসুর হাবীব ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের ডা. সোহেলী রহমান। এই মেডিকেল বোর্ডের চার সদস্য গত রোববার দুপুরে ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। পরে ডা. শামসুজ্জামান জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ নয়। তবে কিছু সমস্যা পাওয়া গেছে। এরপর এই মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতেই শনিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়।উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওইদিন থেকেই তিনি নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ডে-কেয়ার সেন্টারে আছেন। বর্তমানে পুরাতন এই কারাগারে তিনিই একমাত্র বন্দী।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn