হিটলার। যার পুরো নাম অ্যাডলফ হিটলার। জার্মানিদের কাছে তিনি মহানায়ক হলেও। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে তাকে আখ্যায়িত করা হয়। তার ইহুদি দমন উদ্যোগের জন্য তিনি একই সঙ্গে নিন্দিত ও নন্দিত। এই কঠোর মানুষটির জীবন বড় বিচিত্র তথ্যে ভরপুর। যেমন ইহুদী বিদ্বেষী হলেও প্রেমে পড়েছিলেন ইহুদীর নারীর। তাহলে চলুন জেনে নিই তার সম্পর্কে অবাক কিছু তথ্য-

১. ইহুদি তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন হিটলার:
হিটলার নাকি ইহুদি বিদ্বেষী ছিলেন, কিন্তু অবাক বিষয় হল সেই হিটলারই স্কুলে পড়ার সময় এক ইহুদি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। তার নাম ছিল স্টেফানি ইসাক। যদি মেয়েটিকে কখনো কিছু বলেননি। তবে ইসাককে দেখলেই তিনি দারুণ লজ্জাবোধ করতেন।

২. হিটলার ধর্মযাজক হতে চেয়েছিলেন: 
মাত্র ৪ বছর বয়সে সেই ইচ্ছাই দেখা দিয়েছিল হিটলারের মনে। এক শীতে সেই বয়সে একটি লেকে পড়ে যান তিনি। তাকে উদ্ধার করেন এক ধর্মযাজক। ঘটনাটি তার মনকে আলোড়িত করে। মনের কৃতজ্ঞতা আর ভালোলাগা থেকেই তিনি বড় হয়ে ধর্মযাজক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।৩. গাড়ি চালানো জানতেন না:
হিটলার কখনো ড্রাইভিং শেখেননি। চেষ্টাও করেননি। অনেকের ধারণা, তার মনে এক ধরনের ভয় কাজ করত। নিজের মানুষের সামনে যদি গাড়ি চালনায় দক্ষ না হতে পারেন, তবে তা সম্মানহানিকর। তবে নিজের বিশাল সেনাবাহিনীকে ব্যক্তিগত চালকের মাধ্যমে গাড়ি চালিয়েই নেতৃত্ব দিয়েছেন।

৪. ধূমপানবিরোধী:
তরুণ বয়সে ব্যাপক ধূমপান করলেও একপর্যায়ে তিনি এর বিরোধী হয়ে ওঠেন। সিগারেটের পেছনে অর্থের অপচয় হয় বলেই মনে করতেন। গণপরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধকরণে অ্যান্টি-স্মোকিং ক্যাম্পেইনও করেছেন তিনি।

৫. একটি অণ্ডকোষ:
অনেকেই এ কথা বলে গেছেন যে, হিটলার উর্বরতাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি যুদ্ধরত অবস্থায় আঘাত পেয়েছিলেন। সার্জারিতে চিকিৎসক তার একটি অণ্ডকোষ বের করে ফেলেন। তার জীবন বাঁচাতেই এ কাজটি করতে হয়। ১৯১৬ সালে ব্যাটল অব সোমি-তে এমন ঘটনা ঘটেছিল।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn