পাকিস্তানের ঘোর নিন্দুকরাও হয়তো ঘুণাক্ষরে ভাবেনি এমনটা। সমর্থকদের তো স্বপ্নেও ভাবার কথা নয় বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যাবে পাকিস্তান! ট্রেন্ট ব্রিজে ফিরে আসা সোনালী দিনের ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণের সামনে লজ্জার নতুন অধ্যায় খুলেছে সরফরাজ আহমেদরা। রান তবু যে ১০০ পেরিয়েছে, তার পুরো কৃতিত্ব ওয়াহাব রিয়াজের। এই ব্যাটসম্যান ১৮ রানের ইনিংস খেলার কারণেই পাকিস্তানের স্কোর অতদূর গিয়েছে। বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জায় ডুবতে হয়নি তাদের, তবে এই ধাক্কা কোনোভাবেই প্রত্যাশা ছিল না তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সোনালি দিনেই সেই পেস আক্রমণই যেন ফিরে এলো ট্রেন্ট ব্রিজে। যে ঝড়ে এলোমেলো পাকিস্তান। বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচের মোটেও স্বস্তিতে নেই সরফরাজ আহমেদরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের সামনে তাদের সংগ্রহ ১৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান। টস জিতে ফিল্ডিং নিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে খুব একটা সময় নেননি শেলডন কট্রেল। ইনিংসের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই এই পেসার ফেরান ইমাম-উল-হককে। মাত্র ২ রান করে পাকিস্তানি ওপেনার ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক শাই হোপের গ্লাভসে। ক্যারিবিয়ান পেস আক্রমণে সুবিধা করতে পারেননি টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানরাও। ফখর জামান ও বাবর আজম খানিক প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেও বর্থ হন। আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা ফখর দুঃখজনক বোল্ড আউটে ফিরলে বিপদ আরও বাড়ে পাকিস্তানের। আন্দ্রে রাসেলের বল তার হেলমেটে লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। আউট হওয়ার আগে তার রান ১৬ বলে ২২।
রাসেলের উইকেট উৎসব থামেনি। খানির পর এই পেসার তুলে নেন হারিস সোহেলের উইকেট। তার শর্ট ডেলিভারি ৮ রান করা হারিসের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে শাই হোপের গ্লাভসে। আশা জাগানো বাবরও পারেননি। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ব্যাটসম্যানের কাছে অনেক প্রত্যাশা থাকলেও ২২ রান করে ওশানে থমাসের শিকার হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। ৬২ রানে ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। দলকে চরম লজ্জায় ডুবিয়ে একে একে মাঠ ছেড়েছেন সরফরাজ আহমেদ (৮), ইমাদ ওয়াসিম (১), শাদাব খান (০), হাসান আলী (১), মোহাম্মদ হাফিজ (১৬)।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn