বাড়িতে ঢুকে পড়ার টেবিলে ২ বোনকে কুপিয়ে জখম করে পুলিশে ধরা দিয়েছে এক বখাটে। এ ঘটনায় বালিয়াকান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত ২ বোনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দমাগুরা গ্রামে। পিতা আঃ রহমান মৃধা জানান, তার দুই মেয়ে জামিলা ওরফে আছিয়া নটাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও হাসনা হেনা একই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। জামিলাকে দীর্ঘদিন ধরে তার সহপাঠী একই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী ও খামার মাগুরা  গ্রামের মোক্তার সরদারের ছেলে বখাটে আলাউদ্দিন সরদার নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।বিষয়টি তার অভিভাবকদের জানানো হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দু’বোন পড়ছিল। এ সময় আলাউদ্দিন সরদার ধারালো অস্ত্র হাতে প্রবেশ করে দু,বোনকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।

আ: রহমান জানান, তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজনসহ এগিয়ে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মধুখালী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপালে প্রেরণ করে। নটাপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে কি কারণে কুপিয়েছে তা সঠিক ভাবে বলতে পারছি না।  বালিয়াকান্দি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) হাসিনা বেগম জানান, হঠাৎ রাত সাড়ে ৮টার দিকে আলাউদ্দিন সরদার ফোন করে দু’বোনকে কুপিয়ে জখম করেছি। আমাকে গ্রেপ্তার করুন বলে ফোন কেটে দেয়। পরে থানা পুলিশ পাঠিয়ে তাকে আটক করা হয়। তিনি আরো জানান, আলাউদ্দিন সরদার স্বীকার করেছে তার সঙ্গে ৬ বছরের প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর এখন অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার ফলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আটককৃত অবস্থায় আলাউদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সমপ্রতি সে অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক করেছে। মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ৯টার সময় আমি দা হাতে নিয়ে ওর বাড়িতে ভয় দেখাতে যাই, যাতে ভয়ে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন না করে। আমি রেগে গিয়ে দা দিয়ে ওকে কুপিয়েছি। ওর বোন বাধা দিতে এসেছিল ওকেও কুপিয়েছি। পরে থানায় ফোন করে আমাকে ধরে আনতে বলেছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn