জেলা হত্যা দিবসে সরকারি ছুটি ও তরুণ প্রজন্মকে জানাতে এই নৃশংস ঘটনার ইতিহাস স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন এই দিনে খুন হওয়া বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে সোহেল তাজ এ দাবি করেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ বলেছেন, ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা এবং এই দিনের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা উচিত। জেলহত্যা দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কময়, রক্তঝরা ও বেদনাবিধূর দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতাকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তারা হলেন- বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান।

সোহেল তাজ বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতার সার্বিক অবদান ও ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ছয় দফা, গণ অভ্যুথান, সত্তরের নির্বাচন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা- আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। স্কুল-কলেজের পাঠ্যসূচিতে এই চার নেতার পৃথক এবং বিস্তারিত জীবনী ও অবদান তুলে ধরতে হবে। যাতে করে নতুন প্রজন্ম জানতে পারে যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তার সঙ্গে রেখেছিলেন যোগ্য ব্যক্তিদের। যারা তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা আর দেশপ্রেম দিয়ে অর্জন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু এবং এ জাতির আস্থা। এই চার জাতীয় বীর ইতিহাসের শুধু ফুটনোট হতে পারে না কারণ তাদেরকে দিয়েই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাস।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn