ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ:: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের বড়ফেছি বাজার এলাকায় কুশিয়ারা নদীর করাল গ্রাস থেকে নলুয়ার হাওরকে বাচাতে ৩ মন্ত্রীর সুপারিশ থাকা সত্বেও আজ পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ নির্মাণ করা হয়নি। বর্তমানে নলুয়ার হাওর বাচাতে জরুরী ভিত্তিতে বড়ফেছি বাজার থেকে দিঘলবাক-ভূমিহীনপাড়া গ্রামের খালেরপাড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ নির্মাণের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, বিগত ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান জগন্নাথপুর উপজেলার বড়ফেছি এলাকার নদী ভাঙন রোধে তীর প্রতিরক্ষা বাধ ও নলুয়ার হাওর রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ নির্মাণের প্রস্তাব উপস্থাপন করলে সংসদে তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে অতি জরুরী ভিত্তিতে বিল পাস করে (যার স্বারক নং-৩এম-১৪৩/প্রধান পরিকল্পনা/২৬৩) মূলে সরকারি নির্দেশনার আলোকে তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ নির্মাণের জন্য বড়ফেছি বাজার নলুয়ার হাওর নামে ২৩ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি সাব-প্রজেক্ট তৈরী করে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। তবে প্রজেক্ট তৈরী করা হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এর মধ্যে বিগত ২০১৬ সালের ২ মার্চ জগন্নাথপুরের বড়ফেছি বাজার এলাকায় একটি জনসভায় প্রকাশ্যে সরকারের তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক ও সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান সহ ৩ মন্ত্রী এক সাথে ঘোষণা দিয়ে সুপারিশ করা সত্বেও দীর্ঘ ৬ বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ভূক্তভোগীরা বারবার ধর্না দিলেও স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের কোন তৎপরতা না থাকায় অবশেষে চলতি ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ সর্বনাশা করালগ্রাসী কুশিয়ারা নদীর বন্যার পানির ছোবল থেকে রক্ষার জন্য বড়ফেছি বাজার নলুয়ার হাওর সাব-প্রজেক্টটি বাস্তবায়নে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্থানীয় ভূক্তভোগীদের পক্ষ থেকে সাবেক ইউপি সদস্য শাহ খায়রুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, ভূষণ তালুকদার, আবদুল হক, ইউনুছ মিয়া, মঈন উদ্দিন, পীরন মিয়া, শামীম মিয়া, মুজিবুর রহমান, সুন্দর খান ও জিতু মিয়া সহ এলাকাবাসী কর্তৃক গণ-স্বাক্ষরিত একটি আবেদন প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে যদি এ প্রজেক্ট এর অনুমোদন হয়ে আসে, তাহলে দ্রুত কাজ শুরু করার তাগিদ দেয়া হবে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn