আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :

আগামী ৮ মে শনিবার চিকিৎসার জন্য আমেরিকার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ,সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মতিউর রহমান। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,২০১৯ সালের ২২ জুন আমেরিকার একটি হাসপাতালে তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারী হয়। এক বছর পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের কাছে তার শারীরিক অবস্থা পূনর্বার চেকআপের কথা থাকলেও করোনাকালীন মহামারীর কারণে তিনি চেকআপ করতে পারেননি। দুই বছরের ব্যবধানে চিকিৎসকদের পরামর্শেই তাকে মেডিকেল চেকআপের জন্য আমেরিকায় ফিরে যেতে হচ্ছে। সেখানে তার ২ পুত্র মশিউর রহমান জুয়েল ও মাহবুবুর রহমান রাসেল স্বপরিবারে অবস্থান করছেন। ২রা মে আলহাজ্ব মতিউর রহমানের কনিষ্ট পুত্র যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিশিষ্ট সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান রাসেল এর জন্মদিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে এ প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি একথা বলেন। তার জেষ্টপুত্র মশিউর রহমান জুয়েল সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ কার্যকরী কমিটির সদস্য। বর্তমানে তিনিও স্বপরিবারে আমেরিকায় অবস্থান করছেন।
বিদেশে আরাম আয়েশ ও ভোগবিলাসের জীবনের ব্যক্তিগত ঘোরবিরোধী এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। এই মুহুর্তে কোভিড-১৯ করোনাকালীন দুর্যোগে তিনি ঘরের বাইরে যেতে ইচ্ছুক ছিলেননা। কিন্তু চিকিৎসকদের কড়া হুশিয়ারী তাকে চেকআপ করতেই হবে। তাই মানসিকভাবে অপ্রস্তুত থাকলেও তাকে যেতে হচ্ছে আমেরিকায়। তিনি বিদেশ গমন উপলক্ষে প্রথমেই তার নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বলেছেন জীবনের শেষ সায়াহ্নে এসেও আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জনগনের প্রতি আজীবন চিরকৃতজ্ঞ। যারা আমাকে অল্পদিনের জন্য উপ-নির্বাচনে বিজয়ী করার পরও আজোবদি তাদের জন্মগত জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের সুখে দু:খে আমাকে পাশে রেখেছেন। সদিচ্ছা থাকা স্বত্তেও আমি আমার নির্বাচনী এলাকার জনগনের জন্য তেমন কিছুই করতে পারেনি। তবে যা করেছি তা শতভাগ আন্তরিকতা ও সততার সাথেই করার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করবো আমি না থাকলেও আমার অবর্তমানে আমার সন্তানেরা আমার নির্বাচনী এলাকার জনগনের সাথে সবসময় থাকবে। এবং আমার প্রাণপ্রিয় নির্বাচনী এলাকাবাসী আমার মতো আমার সন্তানদেরকেও আপন করে নেবেন।
তিনি বলেন,মানুষ প্রত্যাশা করে এক আর হয় আরেক। আমি রাজনীতিতে পা রেখেছিলাম আমার জন্মস্থান দিরাই-শাল্লা নির্বাচনী এলাকার জনগনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। সে স্বপ্ন আমার পূরন হয়নি। এজন্য আমি হতাশ নই। তবে আমি এখনও আশাবাদি আমার জন্মস্থান দিরাই-শাল্লার সবগুলো রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্ট ইত্যাদির উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো যেন তরান্বিত হয়। এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, সুনামগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে পশ্চাৎপদ জনপদ হচ্ছে দিরাই-শাল্লা। যার উন্নয়নের জন্য গতিশীল নেতৃত্বের প্রয়োজন। আর সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে ঐক্য ধরে রাখা এবং যেখানে ঐক্য নেই সেখানে ঐক্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা। তিনি তার প্রিয়দল আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,কৃষকলীগ,শ্রমিকলীগসহ সকল অংগ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা, আশীর্বাদ ¯েœহ,দোয়া ও ভালবাসা জানান। এবং সকলকে তাঁর জন্য দোয়া করতে বিশেষভাবে অনুরোধ জ্ঞাপন করেন। দলের নিবেদিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আলহাজ্ব মতিউর রহমান বলেন,জীবনে যে অবস্থায় যেখানেই থাকিনা কেন,জাতির জনকের আদর্শকে অনুসরণ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস নিয়েই থাকবো। তিনি চলমান করোনাকালীন দুর্যোগে ও করোনা পরবর্তীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান ও ভবিষ্যত নেতৃত্ব কে আরো গতিশীল করতে সকল নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংগঠনিক কর্মযজ্ঞে মনোনিবেশ করতে উদাত্ত আহবান জানান।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn