ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ঘেষা নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়ন মাওলানা মস্তফা আহমদের বাড়ীতে ফের ডাকাতদল হানা দিয়েছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় গৃহকর্তার ছেলে জামিল আহমদ (২৫) খুন হয়েছে। এসময় গৃহকর্তাসহ তার আরো দুই ছেলেকে আহত করে ডাকাতরা নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় । শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্বার করে পোষ্টমর্টেম রিপোর্টের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছ। এ ঘটনায় নিহতের মাতা আছিয়া বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৭/৮জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। খুনের ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সুত্রে জানায়, উপজেলার মংলাপুর গ্রামের মাওলানা মস্তফা আহমদের বাড়ীতে গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ৭/৮ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাতদল বাড়ীর কলাপসিবল গেইটের তালা ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ীর গৃহকর্তা মাওলানা মস্তফা আহমদের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে ডাকাতরা তাকে এলোপাতাড়ি মারধোর শুরু করলে অন্য রুমে ঘুমিয়ে থাকা তার ছেলে জামিল আহমদ (২৫), মওদুদ আহমদ (২২) ও মাসুদ আহমদ (১৬) টের পেয়ে জেগে উঠেন। একপর্যায়ে তারা বাবাকে রক্ষা করতে ডাকাতদের আটকাতে চেষ্টা চালায়।এতে সংঘবদ্ব ডাকাতদল ক্ষীপ্ত হয়ে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। প্রায় আধ ঘন্টা সময় ডাকাতদের সাথে চলে তাদের তিন ভাইয়ের ধস্তাধস্তি চলে। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পিছু নিয়ে বাড়ীর উঠানে যায়। এ সময় উঠানে গিয়ে ডাকাতরা অস্ত্র দিয়ে সরাসরি হামলা চালায়। হামলার সময় জামিলের শরীরে ছু্ির দিয়ে গুরুত্বর আঘাত করে ডাকাতরা।এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জামিল সহ দুই সহোদর। তখন সহোদর ভাইয়েরা ভাইকে উদ্ধার করতে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার খবর গ্রামের লোকজন জানতে পেরে এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্বার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামিল আহমদকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর আহত ২ সহোদর ও গৃহকর্তা ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি এস এম আতাউর রহমান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে পুর্ব বিরুধের জের ধরে ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য গত ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখে ওই বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়েছিল। এ সময় ডাকাতদল বাড়ীর লোকজনকে অস্ত্রের জিম্মি ও মারপিট করে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকারসহ কয়েক লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়েছিলো। এর পর থেকে গ্রামের পক্ষ থেকে পাহারাদার রাখা হয়। কিন্তু পাহারাদার থাকা সত্তে ও এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে।