০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মন্তব্য প্রতিবেদনঃ স্নাইপার রাইফেল, ৭.৬২ বুলেটের রহস্য কোথায়

রিপোর্টার
  • সময় : ১০:২৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৯১ ভিউ

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাখাওয়াত হোসেনের (বর্তমানে পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন) গতবছর ৮ ই আগষ্ট যিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন এবং ৭.৬২ বুলেট ব্যবহারকারী স্নাইপার রাইফেলের মাধ্যমে অধিকাংশ ছাত্র ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারিত হন তিনি ২০২৫ এ এসে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের এক অনুষ্ঠানে ৫ই আগষ্টের বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে আবারো প্রশ্ন তুলেছেন এই স্নাইপার রাইফেল ও ৭.৬২ বুলেটের আঘাতে অধিকাংশ মৃত্যু নিয়ে এবং এ ব্যাপারে কোন তদন্ত না হওয়ায়।

এখন প্রশ্ন হলো যে অস্ত্রের আঘাতে ৫ই আগষ্ট এত পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক এত হত্যাকান্ড সংঘটিত হলো, ইউনুস সরকার সে ব্যাপারে কেন কোন তদন্ত করতে রাজি নয়। নাকি এতে করে ইউনূস, জামায়াত, সেনাবাহিনী এমনকি জাতিসংঘ বেকায়দায় পরতে পারে তাই ব্যাপারটা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে সবাই মিলে। কি ভাবে কাদের হাতে এল এই স্নাইপার রাইফেল, কারা ছাত্র হত্যাকরে তার দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর চাপিয়ে দিল, এই তথ্য জাতির সামনে পরিষ্কার হওয়া উচিত। এটি আজ সুস্পষ্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে যদি এই স্নাইপার রাইফেল ও ৭.৬২ বুলেট থাকতো, তাহলে আওয়ামী লীগের ৫ই আগষ্ট পরবর্তী সময়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যার শিকার হতে হতো না।

তা হলে কাদের হাতে এই অস্ত্র? মনে রাখবেন, এই স্নাইপার রাইফেল চালাতে ব্যাপক ট্রেনিং এর প্রয়োজন হয়। তা হলে দেশে এই স্নাইপার রাইফেলের সংখ্যা কত, কত হাজার, লক্ষ স্নাইপার রাইফেল চালাতে দক্ষ মানুষ বাংলাদেশে এই মুহূর্তে অবস্থান করছে? এর উত্তর দেশবাসীর জানা জরুরী হলেও ইউনুস সরকার জানাতে রাজি নয়, যা জানা ও বোঝা গেল ইউনুস সরকারের বর্তমান পাট ও জ্বালানী উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব) জেনারেল শাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্যে। তাহলে কি এর উত্তর মেলাতে আমাদেরকে যেতে হবে জামায়াতের নায়েবে আমির ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নিউইয়র্কে দেয়া গণসংবর্ধনায় দেয়া বক্তব্যে, যেখানে তিনি ৫০ লক্ষ প্রশিক্ষিত জামায়াত-শিবিরের তরুণদের কথা বলেন যারা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। আমরা বিভিন্ন সময় জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বক্তব্য থেকে সুস্পষ্ট ধারণা পাচ্ছি যে, জামায়াত-শিবির গতবছর সরকার পতনে প্রশিক্ষিত অস্ত্রধারী তরুণদের মাঠে নামায়, এবং এই মুহূর্তে এরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আর একারণেই কি সসস্ত্র বাহিনী সংঘর্ষ এড়াতে অত্যন্ত জীবন ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে।

জামায়াতের এই প্রশিক্ষিত অস্ত্রধারী জঙ্গি বাহিনীর শক্তি এতটাই বেশি যে, এদের রাজনৈতিক মূখপাত্র, হাসানাত আবদুল্লাহ, আখতার, মাসুদ, ফুয়াদ রা সেনাবাহিনীকে চরম হুমকি ও অপমান করলেও সেনাবাহিনী কোন প্রতিকার ও প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহস পাচ্ছে না। আর সসস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীর ভরসায় বা উপর ভর করেই জামায়াত বিএনপিকে জামায়াতের জুনিয়র পার্টনার হিসেবে দেখছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে আর এর মধ্যেই হয়তো স্নাইপার রাইফেল, ৭.৬২ বুলেটের রহস্য লুকিয়ে আছে। বিষয় টি অত্যন্ত উদ্বেগের এবং যা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বোভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হুমকি।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মন্তব্য প্রতিবেদনঃ স্নাইপার রাইফেল, ৭.৬২ বুলেটের রহস্য কোথায়

সময় : ১০:২৯:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাখাওয়াত হোসেনের (বর্তমানে পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন) গতবছর ৮ ই আগষ্ট যিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন এবং ৭.৬২ বুলেট ব্যবহারকারী স্নাইপার রাইফেলের মাধ্যমে অধিকাংশ ছাত্র ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারিত হন তিনি ২০২৫ এ এসে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের এক অনুষ্ঠানে ৫ই আগষ্টের বর্ষপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে আবারো প্রশ্ন তুলেছেন এই স্নাইপার রাইফেল ও ৭.৬২ বুলেটের আঘাতে অধিকাংশ মৃত্যু নিয়ে এবং এ ব্যাপারে কোন তদন্ত না হওয়ায়।

এখন প্রশ্ন হলো যে অস্ত্রের আঘাতে ৫ই আগষ্ট এত পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক এত হত্যাকান্ড সংঘটিত হলো, ইউনুস সরকার সে ব্যাপারে কেন কোন তদন্ত করতে রাজি নয়। নাকি এতে করে ইউনূস, জামায়াত, সেনাবাহিনী এমনকি জাতিসংঘ বেকায়দায় পরতে পারে তাই ব্যাপারটা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে সবাই মিলে। কি ভাবে কাদের হাতে এল এই স্নাইপার রাইফেল, কারা ছাত্র হত্যাকরে তার দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর চাপিয়ে দিল, এই তথ্য জাতির সামনে পরিষ্কার হওয়া উচিত। এটি আজ সুস্পষ্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে যদি এই স্নাইপার রাইফেল ও ৭.৬২ বুলেট থাকতো, তাহলে আওয়ামী লীগের ৫ই আগষ্ট পরবর্তী সময়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যার শিকার হতে হতো না।

তা হলে কাদের হাতে এই অস্ত্র? মনে রাখবেন, এই স্নাইপার রাইফেল চালাতে ব্যাপক ট্রেনিং এর প্রয়োজন হয়। তা হলে দেশে এই স্নাইপার রাইফেলের সংখ্যা কত, কত হাজার, লক্ষ স্নাইপার রাইফেল চালাতে দক্ষ মানুষ বাংলাদেশে এই মুহূর্তে অবস্থান করছে? এর উত্তর দেশবাসীর জানা জরুরী হলেও ইউনুস সরকার জানাতে রাজি নয়, যা জানা ও বোঝা গেল ইউনুস সরকারের বর্তমান পাট ও জ্বালানী উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব) জেনারেল শাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্যে। তাহলে কি এর উত্তর মেলাতে আমাদেরকে যেতে হবে জামায়াতের নায়েবে আমির ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নিউইয়র্কে দেয়া গণসংবর্ধনায় দেয়া বক্তব্যে, যেখানে তিনি ৫০ লক্ষ প্রশিক্ষিত জামায়াত-শিবিরের তরুণদের কথা বলেন যারা ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। আমরা বিভিন্ন সময় জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বক্তব্য থেকে সুস্পষ্ট ধারণা পাচ্ছি যে, জামায়াত-শিবির গতবছর সরকার পতনে প্রশিক্ষিত অস্ত্রধারী তরুণদের মাঠে নামায়, এবং এই মুহূর্তে এরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত আছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, আর একারণেই কি সসস্ত্র বাহিনী সংঘর্ষ এড়াতে অত্যন্ত জীবন ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছে।

জামায়াতের এই প্রশিক্ষিত অস্ত্রধারী জঙ্গি বাহিনীর শক্তি এতটাই বেশি যে, এদের রাজনৈতিক মূখপাত্র, হাসানাত আবদুল্লাহ, আখতার, মাসুদ, ফুয়াদ রা সেনাবাহিনীকে চরম হুমকি ও অপমান করলেও সেনাবাহিনী কোন প্রতিকার ও প্রতিক্রিয়া জানাতে সাহস পাচ্ছে না। আর সসস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীর ভরসায় বা উপর ভর করেই জামায়াত বিএনপিকে জামায়াতের জুনিয়র পার্টনার হিসেবে দেখছে এবং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে আর এর মধ্যেই হয়তো স্নাইপার রাইফেল, ৭.৬২ বুলেটের রহস্য লুকিয়ে আছে। বিষয় টি অত্যন্ত উদ্বেগের এবং যা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বোভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হুমকি।