ফয়সল আহমদ রুহেল:: মাত্র সাত বৎসর বয়সে পিতৃহারা। বিধবা মাতা এবং বড় ভাইয়ের প্রচেষ্টায় শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি। বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনে সফলতায় অনেক সম্মাননা অর্জন। পেশাগত ও প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ গ্রহণ। বিদ্যালয়ের সাথে প্রায় অর্ধেক জীবন জড়িয়ে থাকা মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী অকৃপণভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ছাতক সরকারী বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। 

জন্ম ও বংশ পরিচয় : মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী ২০ জানুয়ারি ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে সুনামগঞ্জ জেলার  (তৎকালীন সুনামগঞ্জ মহকুমার) শান্তিগঞ্জ উপজেলার (তৎকালীন সদর থানার) অন্তর্গত ঐত্যিবাহী দরগাপাশা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মৃত মো. আব্দুল মতলিব চৌধুরী এবং মাতা মৃত তহুরুন্নেছা চৌধুরী। দুই বোন দুই ভাই এর মধ্যে মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী সর্বকনিষ্ট। 

বাল্য ও কৈশোর জীবন : মো. মঈনুল হোসেন চৌধুরী ছোট বেলায় বাড়ির সামনের মসজিদ সংলগ্ন মক্তবে আরবী প্রাথমিক শিক্ষা এবং বাড়ির পাশে অবস্থিত দরগাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। অত:পর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন দরগাপাশা আব্দুর রশীদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা সমাপ্তি করেন। 

শিক্ষা জীবন : মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী ১৯৭৮ খ্রি. দরগাপাশা আব্দুর রশীদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২য় বিভাগে এসএসসি পাশ করার পর সিলেট এমসি ইন্টারমিডিয়েট কলেজে (বর্তমান সরকারি কলেজ) ভর্তি হন। এই কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর সিলেট সরকারি কলেজে (বর্তমান এমসি কলেজ) বিএ পাস এ ভর্তি হন এবং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। 

উল্লেখ্য, মাত্র সাত বৎসর বয়সে তাঁর পিতা মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বিধবা মাতা এবং বিডিআর এ চাকুরীরত বড় ভাই মো. মাছনুন হোসেন চৌধুরীর প্রচেষ্টায় তিনি কলেজ জীবনের শিক্ষা সমাপ্তি করেন।

প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষা অর্জন : মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থাকাবস্থায় ১৯৯০ সালে কুমিল্লা সরকারী টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে উচ্চতর ২য় শ্রেণীতে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে ২০১১ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে জিপিএ-৩.৮২ (৪.০০ এর মধ্যে) পেয়ে এম,এ ডিগ্রি এবং ২০১৬ সালে জিপিএ-৩.২৩ (৪.০০ এর মধ্যে) পেয়ে এম এড ডিগ্রি অর্জন করেন। তাছাড়া পেশাগত ও প্রশাসনিক দক্ষতা উন্নয়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত আইসিটিসহ এগারটি স্বল্পকালীন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ‘Beijing International Education Exchange’ (BIEE) এর আমন্ত্রণে ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিনের শিক্ষা সফরে বেইজিং সফর করেন। 

কর্মজীবন : মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী তাঁর এক দাদা (তাঁর পিতার মামা) মরহুম সমছুল হোসেন চৌধুরীর প্রেরণায় বাড়ির পাশে অবস্থিত আব্দুর রশীদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। উল্লেখ্য, মরহুম সমছুল হোসেন চৌধুরী ছিলেন প্রয়াত স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর আপন চাচাত ভাই। তিনি ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতাবস্থায় প্রায় ৭ মাস ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই বিদ্যালয়ে ৮ বৎসর ২ মাস ১২ দিন শিক্ষকতা করেন। এরপর ১৯৯২ সালের ১৩ মে নতুন বাজার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এই বিদ্যালয়ে ১৯৯২ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। অত:পর ১৯৯২ সালের ৭ জুলাই ছাতক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত উক্ত পদে শিক্ষকতা করেন। অত:পর ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন। প্রধান শিক্ষক পদে যোগদানের পূর্বে তিনি ২০০৬ সালের ৫ নভেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ বৎসর ১ মাস ২০ দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।  অবশেষে ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরীর বয়স ৫৯ বৎসর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি বিধিমোতাবেক ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

বিদ্যালয়ের অবিস্মরণীয় উন্নতি : ছাতক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় তাঁর প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়ের অবিস্মরণীয় উন্নতি সাধিত হয়। এ সময়ে প্রায় প্রতিবৎসরই বিদ্যালয়ে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায় ৯২% এর উপরে ফলাফল অর্জিত হয়। প্রতি বৎসরই ২০, ২৫, ৩০ জন ছাত্রছাত্রী জিপিএ-৫ অর্জন করে। ৩/৪ বার বিদ্যালয়ের জেএসসি এবং এসএসসি ফলাফল ১০০% অর্জিত হয়। তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ও বর্তমান সরকারের বদান্যতায় বিদ্যালয়টি ২০১১ খ্রি. ‘মডেল স্কুল’ প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়। তখন থেকে বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় ‘ছাতক বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়’। তাঁর দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে বিদ্যালয়টি শিক্ষা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আইসিটি, বিজ্ঞান মেলা ইত্যাদিতে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্টত্ব বজায় রেখে চলেছে। তাঁর প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি ২০১৫, ২০১৬, ২০১৮, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলার শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাধ্যমিক) গৌরব অর্জন করে। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিজে উপজেলায় শ্রেষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের (মাধ্যমিক) স্বীকৃতির সম্মাননা অর্জন করেন। উল্লেখ্য যে, প্রতি বৎসর জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত করা হয়। 

বিদ্যালয় জাতীয়করণের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের কর্মতৎপরতায় মুগ্ধ হয়ে ছাতক-দোয়ারাবাজার নির্বাচনী এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মুহিবুর রহমান মানিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য ডি.ও লেটার প্রদান করেন। এরপর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির তৎকালীন সভাপতি জনাব শামীম আহমদ চৌধুরী এবং অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন কৃতি ছাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন মুখ্য সচিব জনাব মো. নজিবুর রহমান এর সহযোগিতায় ২০১৮ সালের ২১ মে তারিখে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। তখন থেকে বিদ্যালয়ের নামকরণ হয় ‘ছাতক সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়’। এ বিদ্যালয়ের সাথে মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী প্রায় অর্ধেক জীবন জড়িত রয়েছে। তাই বলা যায় ছাতক সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরীর জীবন একই সূতোয় গাঁথা। 

অর্জন : মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী অত্যন্ত সাফল্যের সাথে দীর্ঘ ৩৭ বৎসর ১০ মাস ১৯ দিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনে সফলতার স্বীকৃতি স্বরূপ এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি অনেক সম্মাননা অর্জন করেন। এগুলো হচ্ছে- উপজেলা প্রশাসক, ছাতক কর্তৃক শ্রেষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান সম্মাননা-২০১৭, SDDS OF BANGLADESH কর্তৃক আলোকিত শিক্ষক সম্মাননা-২০১৭, অগ্রগামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক এডুকেশন অ্যাওয়ার্ড-২০১৮, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ কর্তৃক শেরেবাংলা একে ফজলুল স্মৃতি সম্মননা-২০১৮, অগ্রগামী মিডিয়া ভিশন কর্তৃক মহাত্মগান্ধী পিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৮, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পদক-২০১৮, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বিপ্লবী জনতা’ কর্তৃক বিপ্লবী জনতা স্টার অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ ও ২০১৯। বিশ্ব মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কর্তৃক মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ । 

সাংগঠনিক কার্যক্রম : মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী ১৯৮৫ খ্রি. থেকে ২০০৪ খ্রি. পর্যন্ত প্রায় ২০ বৎসর দরগাপাশা জামে মসজিদের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৫ খ্রি. থেকে ২০০৪ খ্রি. পর্যন্ত ছাতক উপজেলা শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী এবং ২০০৭ খ্রি. থেকে ২০১১ খ্রি. সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অত:পর ২০১২ খ্রি. থেকে ২০১৭ খ্রি. পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলা  বেসরকারি শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০২০ খ্রি. থেকে সিলেট বিভাগের সদ্য জাতীয়করণকৃত স্কুলের শিক্ষক সমিতির সভাপতি পদে আসীন আছেন। 

পারিবারিক অবস্থান : মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী ১ এপ্রিল ১৯৯৩ খ্রি. বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্ত্রীর নাম আফিয়া খাতুন। তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। কন্যা তার স্বামীর সাথে আইয়াল্যান্ডে বসবাসরত আছেন। তাছাড়া তাঁর পুত্র দেশে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অনার্স শেষ করে বর্তমানে স্কটল্যান্ডের University of Aberdeen এ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এ মাষ্টার্স কোর্স  এ অধ্যয়নরত। তিনি সিলেট নগরীর একটি ফ্লাট বাড়িতে স্বস্ত্রীক বসবাসরত আছেন। 

২০২২ সালে অবসরপ্রাপ্ত গুণী শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করা হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার কৃতি সন্তান জনাব টি, আলী স্যারের নামে প্রতিষ্ঠিত যুক্তরাজ্য ভিত্তিক চ্যারেটি সংস্থা টি,আলী স্যার ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যেক উপজেলায় অবসরপ্রাপ্ত দুইজন আদর্শ শিক্ষককে সম্মাননা পদকে মনোনয়নে জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাতক উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত আদর্শ শিক্ষকের সম্মাননার স্বীকৃতি হিসেবে টি, আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। 

সুনামগঞ্জ জেলার ১১ উপজেলার ২২ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জীবনী ধারাবাহিকভাবে লিখছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি টি, আলী স্যারের পুত্র বৃটেনের জনপ্রিয় চ্যানেল এস টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সল আহমদ (রুহেল)। 

উল্লেখ্য, ২২ জন মনোনয়নপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে থেকে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা ৫ জনকে আর্থিক সহযোগিতা এবং জেলার আদর্শ শিক্ষকের স্বীকৃতি হিসেবে ৫ জন শিক্ষককে টি আলী স্যার ফাউন্ডেশন সম্মাননা পদকে ভুষিত করবে সংস্থাটি।

শ্রদ্ধেয় মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী স্যার শিক্ষার্থীদের আলো-আঁধারের পার্থক্য বুঝতে শেখান, সত্য, ন্যায়, প্রজ্ঞা আর সহিষ্ণুতার পথ দেখান। দীর্ঘ ৩৭ বৎসর ১০ মাস ১৯ দিন শিক্ষকতা জীবনে তিনি বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সমাজকে আলোকিত করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যান। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মো. মঈনুল হুসেন চৌধুরী সমাজে শিক্ষকের মর্যাদার আসনটি প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করেন। তিনি ত্যাগ-তিতিক্ষা আর সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নিরলস শ্রম দিয়ে জ্ঞান বিতরণ করেন। এ শিক্ষকের দীর্ঘায়ূ কামনা করি।

লেখক -ফয়সল আহমদ {রুহেল}- সাউথ লন্ডন,প্রতিনিধি চ্যানেল এস টেলিভিশন লন্ডন।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn