চলে গেলেন ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আজ শুক্রবার ভোরে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। ১৯৩৫ সালের ৮ জানুয়ারি জন্ম সুপ্রিয়া দেবীর। মাত্র ৭ বছর বয়স থেকেই অভিনয় জগতে কর্মযাত্রা শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ভারতীয় বাংলা সিনেমা জগতে কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলাদেশেও রয়েছে তার অগনিত ভক্ত। কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটকের ‘মেঘে ঢাকা তারা’ চলচ্চিত্রের নীতা, ‘দেবদাস’ সিনেমার চন্দ্রমুখী, ‘দুই পুরুষ’ সিনেমার বিমলা, ‘বন পলাশীর পদাবলী’ সিনেমার পদ্মা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয়ে স্থায়ী আসন তৈরি করে নিয়েছেন সুপ্রিয়া দেবী।

শেষকৃত্য সন্ধ্যায়

আজ সন্ধ্যায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গান স্যালুটের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর শেষকৃত্য হবে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনটাই জানিয়েছেন। আজ ভোরে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের নিজের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুপ্রিয়া দেবী। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ২০১১ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’ এবং ২০১৪ সালে ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাকে।সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তার মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। শেষ হলো উত্তম-অধ্যায়েরও। সুপ্রিয়া দেবীর প্রয়াণে বাংলার স্বর্ণযুগের এক অধ্যায় শেষ হয়ে গেল। ‘সোনার হরিণ’, ‘শুন বরনারী’, ‘উত্তরায়ণ’, ‘সূর্য্যশিখা’, ‘সবরমতী’, ‘মন নিয়ে’ ‘বিলম্বিত লয়’ ‘জীবন জিজ্ঞাসা’র মতো আরো অনেক ছবিতে উত্তম কুমারের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। গত শতকের ষাটের দশকের শেষ দিক থেকে সত্তর দশকে বেশির ভাগ ছবিতে তিনি উত্তম কুমারের নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn