চলে গেলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তি পরিচয় ছাড়াও তিনি ছিলেন দেশের একজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। আশির দশকের শুরু থেকে নব্বই দশকের শুরু পর্যন্ত উপস্থাপনায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ৪ মাস লন্ডনে চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার লন্ডনের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়াও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেক কাছে মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘খবরটি কয়েক জায়গায় দেখে আমি নিশ্চিত হয়েছি। বিশ্বাস করতে আসলেই কষ্ট হচ্ছিল। আনিস ভাই, বিশ্বাস হচ্ছে না সত্যি, ভালো থাকবেন। আমার দেখা বহুমুখী মানুষগুলোর মধ্যে আপনি অন্যতম।’ বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান ও অভিনেতা শামীম শাহেদ বলেন, ‘আপনার কাছ থেকে কতকিছু শিখেছি, সদা হাসিমুখ, শেষ পর্যন্ত আশা না ছাড়া, সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা, আপনার সাফল্য দেখে আমরাও সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম।’
সঙ্গীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী বলেন, ‘গত বছর কবির বকুল আইসিইউতে। তিনি এলেন মধ্যরাতে। ঢুকে পড়লেন কবির বকুলের কেবিনে। কাঁচের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে অপলক তাকিয়ে রইলেন। ঝট করে দরজা খুলে প্রায় অচেতন কবির বকুলের সামনে গিয়ে বললেন, তোমার কিচ্ছু হবে না, আমরা আছি। আনিস ভাই আসলে কি আপনি আজ কোথাও আছেন।’ অভিনেতা কচি খন্দকার বলেন, ‘অনেক কথা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে না। প্রিয় আনিসুল হকের কথাটা যদি এমন হতো, মেয়র আনিসুল হক বেঁচে আছেন। প্রিয় আনিস ভাই ভালো থাকবেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন কিভাবে সফল হতে হয়। তাকে নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, অনেক গুজব ছড়িয়েছে। সবকিছুর অবসান ঘটলো। আমাদের মূল্যবোধের যে ক্ষয় তার অবসান হোক। মানবিক গুণাবলি জেগে উঠুক। তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতি থাকলো।’ অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, ‘আনিস ভাই, মেনে নেওয়া সত্যি কঠিন এভাবে চলে যাওয়া। কিছু বলার ভাষা নেই। চিরশান্তিতে ঘুমান, শুধুই শ্রদ্ধা।’ আদনান ফারুক হিল্লোল বলেন, ‘আনিসুল হক চলে গিয়ে প্রমাণ করলেন বাংলাদেশে তিনি কতটা জনপ্রিয় ছিলেন!’
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn