অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এর দু’দিন আগেই এই ব্যাটারি থেকে সামান্য বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছিলো তীব্র চাহিদার কারণে। বলা হচ্ছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় স্থাপিত এই ব্যাটারি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এখন যোগ হচ্ছে বিদ্যুৎ সরবরাহের গ্রিডেও। একশো মেগাওয়াটের এই ব্যাটারিটি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান টেসলা। টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক ১০০ দিনের মধ্যে এটি তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের মধ্য দিয়ে টেসলা কোম্পানির দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হলো। মাস্ক জানান, এই ব্যাটারিটি এর আগের বৃহত্তম ব্যাটারির চেয়েও তিনগুণ বেশি শক্তিশালী। এখান থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে সেটা দিয়ে ৩০ হাজার বাড়ির এক ঘণ্টার চাহিদা মেটানো সম্ভব।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় সাম্প্রতিক বিদ্যুৎ সঙ্কটের পর এই ব্যাটারিকে এখন বর্তমান জ্বালানী ব্যবস্থায় যুক্ত করা হচ্ছে। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ব্যাটারি থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন একটি যুগান্তকারী ঘটনা। তারা বলছে, এর ফলে বিদ্যুতের সঙ্কট এড়ানো সম্ভব হবে। গত বছর সেখানে বড়ো রকমের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছিলো। গরম আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা তৈরি হওয়ায় এই ব্যাটারি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের আগেই সেখান থেকে কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকেই।
এই ব্যাটারি তৈরির ধারণা প্রথমে আসে টুইটারে, যখন মাস্ককে জিজ্ঞেস করা হয় যে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিদ্যুৎ সঙ্কট সমাধানের বিষয়টিকে তিনি কতোটা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। মাস্ক তখন জানান, যদি ১০০ দিনের মধ্যে এটি তৈরির কাজ শেষ না হয় তাহলে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া রাজ্যে বিনা খরচে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। তারপর এটি তৈরির ক্ষণগণনা শুরু হয় ৩০শে সেপ্টেম্বর থেকে। রাজ্য সরকার থেকে এই পরিকল্পনার অনুমোদন হওয়ার পরই এটি তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু টেসলা এই ব্যাটারি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলে প্রায় ৬০ দিনের মধ্যেই। বিবিসি।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn