ড্রেনের উপর নেই ঢাকনা। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের উপর রাখা হয়েছে ৪ ডাস্টবিন। ডাস্টবিন উপচে ময়লা আবর্জনায় ভরাট হচ্ছে ড্রেন। এছাড়াও ড্রেনের পাশে বা উপরে স্থানীদের বিভিন্ন মালামাল ও নির্মাণ সামগ্রী রাখা আছে। দীর্ঘদিন ধরে ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় তাতে ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে পানি নিষ্কাশনের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বৃষ্টিতে চলাফেরার ভোগান্তির সঙ্গে পচা, দুর্গন্ধযুক্ত সেই পানি বাড়াচ্ছে রোগবালাইয়ের আশঙ্কা। বলা হচ্ছিল পৌর শহরের আব্দুজ জহুর সেতুর সংযোগ সড়কের দু’পাশের ড্রেনের কথা। শহরে ঢোকার প্রবেশ মুখেই আবর্জনা ফেলায় নাকে রুমাল চেপে মানুষকে শহরের ঢুকতে হচ্ছে। পাশাপাশি শহরের মানুষকে স্থায়ী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থার এই দুরবস্থায় সামান্য বৃষ্টি হলেই মল্লিকপুর এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। সেতু সংলগ্ন সড়কের দু’পাশে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ড্রেনে।
আদরীক টেলিকমের মালিক রিপন দাস বললেন, আমি প্রতিদিন দোকানের সম্মুখ দিক পরিস্কার করে রাখি। ক্রেতারাই চিপস, পটেটো সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলে দেয়। এতে করে বৃষ্টি বাদলে ওই প্যাকেটগুলো ড্রেনের নালায় জমা হয়ে থাকে। সিয়াম এন্ড রিয়াদ স্টোরের মালিক জুয়েল আহমদ বললেন, দোকানের সামনে ড্রেনের উপর ডাস্টবিন রাখা হয়েছে। আমরা ময়লা আবর্জনা ডাস্টবিনে ফেলে আসি।

আবুল ইঞ্জিনিয়ার এর পরিচালক আবুল হোসেন বললেন, সড়কের মাঝখানে গাড়ি রেখে মেরামত করা ঠিক না। আমরা চেষ্টা করব সড়ক পথ থেকে একটু দুরে গাড়ি মেরামতের। মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাহদী হাসান ইমু বললেন, সেতু সড়কের দু’পাশে ময়লা আবর্জনায় ডাস্টবিন উপচে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত করছে। নাকে চেপে ধরে স্কুলে যেতে হয়। এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার। শিক্ষার্থী নাদিমুল হাসান বলেন, সেতু সড়কে সব সময় ময়লা আবর্জনা জমে থাকে। পচা দুর্গন্ধের কারণে যাতায়াত করা যায় না। এছাড়াও সড়কে গাড়ি রাখা হয়, গাড়ি মেরামতের কাজ হয়। এতে করে রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।

মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা আফাজ উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন বললেন, সেতু সড়কের দু পাশে পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ রয়েছে। এতে করে সড়ক পথে পানি জমে যায়, চলাচলে খুব সমস্যা হয়। আশাকরি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন এবং নালা পরিস্কার করে জনসাধারণের চলাচলের পথ সুন্দর করে দেবেন।

শ্রী শ্রী শ্মশান কালী মন্দির ও শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিপন বৈদ্য বললেন, আমাদের ঐতিহ্যবাহী শ্রী শ্রী কালী মন্দিরের সামনেই ময়লা আবর্জনা জমে আছে। আব্দুজ জহুর সেতু সংলগ্ন সড়কের নালা ময়লা আবর্জনা জমে বন্ধ রয়েছে। মন্দিরের সামনের সড়কে ছোট-বড় অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের আশপাশে গাড়ি মেরামতের কাজ সহ গাড়ি পার্কিং করায় জনসাধারণের চলাচলে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া পৌরসভার ডাস্টবিনগুলো নালার উপরে রাখা হয়েছে। এতে করে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এমতাবস্থায় আমরা আশা করব কর্তৃপক্ষ দ্রুত সড়ক পাশের নালা, ডাস্টবিন পরিস্কার করে আমাদেরকে সুন্দরভাবে উৎসব পালন করার সুযোগ দিবেন। ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুরবস্থার কথা স্বীকার করে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালী কৃষ্ণ পাল বলেন, পৌরসভার মল্লিকপুর এলাকায় দৃষ্টিনন্দন আব্দুজ জহুর সেতু সংলগ্ন সড়কের দু’পাশের কিছু অংশ পরিস্কার করা হয়েছে। শীঘ্রই সেতু সংলগ্ন সড়কের দু’পাশের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।-সৌজন্যে সুনামগঞ্জের খবর

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn