আবু আলী সাজ্জাদ হোসাইনঃ-আমাদের বাড়িটি শহরের এক প্রান্তে অবস্থিত। এটি আরপিননগর তালুকদার বাড়ি হিসাবে পরিচিত। আমাদের পূর্ব পুরুষ কালী কুমার দত্ত। তিনি হযরত শাহজালাল (রহঃ) এঁর হাতে ইসলাম কবুল করেন। তাঁর নাম হয় মনির ঊদ্দিন খাঁ। তাঁর আদি নিবাস ছিল জগন্নাথপুরে্র কেশব পুর। তিনি জগন্নাথপুরের রাজার আমিন ছিলেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর এখানে এসে বসতি স্থাপন করেন।  আমাদের এ বংশলতায় ছড়িয়ে রয়েছে বহু জ্ঞানীগুণী মানুষের নাম। সুনামগঞ্জের শিক্ষা-দীক্ষা, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, খেলাধুলা, শিক্ষকতা, সাংবাদিকতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে এ বংশের মানুষেরা নিজেদের অবদান রেখে গেছেন। কেউ কেউ এখনো রেখে চলেছেন। এটি একটি প্রাচীন শিক্ষিত পরিবার।  আমাদের বাড়িটি পরে বাহ্যিক দৃষ্টিতে দুইটি বাড়িতে বিভক্ত হয়। একটি পুরান বাড়ি। অন্যটি নতুন বাড়ি। কে.বি মক্তবের সংলগ্ন বাড়িটি পুরান বাড়ি। নতুন বাড়িটি এর আরো কিছু পূর্ব দিকে অবস্থিত। সেটিতে এখনো কাদির বকস সাহেবের বংশধররা বসবাস করছেন। এছাড়া এই দুই বাড়ির অংশ বিশেষ বিভিন্ন সময় নিজ নিজ প্রয়োজনে সরে গিয়েছিলেন। যারা পরে নিজ নিজ বাসা বাড়ি তৈরী করে বসবাস করছেন সারা শহরময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে। এবংশের অন্যতম সুযোগ্য সন্তান হলেন জনাব মুহাম্মদ আব্দুল হাই। ইনি সম্পর্কে আমার চাচা। তাঁরই হাত ধরে আমার এলাইনে পথ চলা শুরু। তিনি একাধারে ছিলেন রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, অভিনয় শিল্পী, সাংবাদিক তথা বহুবিধ গুণাবলী সম্পন্ন একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব।

তার জন্ম ১৯২৯ সালে। তিনি জন্মগতভাবে প্রখর মেধাসম্পন্ন ছিলেন। তিনি ছোট বেলায় হেঁটে যাওয়ার সময় বড়দের পড়া শুনে শুনে তা বলে দিতে পারতেন। মুখে মুখে মানসাংকের সঠিক উত্তর দিতে পারতেন। তিনি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে। ঐ স্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা শেষে কৌতুহল বশতঃ তাকে জিজ্ঞেস করেন ঐ পরীক্ষায় আসা সরল অংকটি তিনি পেরেছেন কি না। তিনি তার সামনে অংকটি করে দেখালেন। প্রধান শিক্ষক বল্লেন তুমি বৃত্তি পাবে। কারণ আমার জানা মতে আর কারো এ অংক শুদ্ধ হয়নি। উল্লেখ্য তিনি এই পরীক্ষায় সমগ্র আসামের মধ্যে ১ম স্থান অধিকার করে বৃত্তি লাভ করে ছিলেন। এরপর ১৯৪৮ সালে জুবিলী হাই স্কুল থেকে ১ম বিভাগে প্রবেশিকা পাশ করেন। ১৯৫১ সালে সুনামগঞ্জ কলেজ থেকে আই.এ পাশ করে এম.সি কলেজে ভর্তি হন। রাজনীতির কারণে তিনি ১৯৫২ সালে এম.সি কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হন। ১৯৫৪ সালে মদনমোহন কলেজ থেকে একজন নিয়মিত ছাত্র হিসাবে বি.এ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেন। ১৯২(ক) ধারা জারী হলে তিনি পরীক্ষার দশদিন আগে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন। এরপর ১৯৫৫ সালে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বি এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এবং ডিস্টিংশন সহ বি এ পাশ করেন জেলখানা থেকে। ছাড়া পেয়ে ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে আইন ক্লাশে ভর্তি হন। পরে তাঁর আর আইন পড়া হয়নি। কারণ রাজনীতি।
রাজনীতি
‘১৯৫১ সালে সিলেটের ছাত্র নেতৃবৃন্দ একটি অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে একটি ছাত্র সম্মেলন আহবান করেন। সংগঠনটির নামকরণ করা হলো ‘সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়ন’। এর সভাপতি হন জনাব আব্দুল হাই এবং সাধারণ সম্পাদক হন খোন্দকার রুহুল কুদ্দুস। এটিই দেশের প্রথম অসাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠন। ভাষা আন্দোলনের পরবর্তী কালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন গঠিত হলে সিলেট জেলা ছাত্র ইউনিয়ন এর সাথে অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়ে। [সূত্র: কালের যাত্রার ধ্বনি: মোঃ আব্দুল আজিজ পৃ. ৩৩] ছাত্র রাজনীতিক হিসাবে তিনি ভাষা আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। যা আজো সংশ্লিষ্ট মহল প্রশংসার সাথে স্মরণ করেন। এরপর তিনি সিলেট জেলা যুব লীগে যোগ দেন ও এর নেতৃত্ব দেন। ৫৪ সালের নির্বাচনে তিনি সিলেটের যুক্তফ্রন্টের কার্যালয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। মূলতঃ এসমস্ত রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কারণেই তিনি পরে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
১৯৫৬ সালে জেল থেকে বের হয়ে তিনি আইন পড়তে শুরু করেন। পরে তা অসমাপ্ত রেখে সুনামগঞ্জে চলে আসেন। কারণ কমরেড বরুন রায় হঠাৎ গ্রেফতার হলে তার শূন্যস্থান পূরণের জন্য তিনি দলের ডাকে সুনামগঞ্জ চলে আসেন। এবং দলের পরিচালিত ১৬টি লঙ্গরখানার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগের সম্পাদক
১৯৫৬ সালে তিনি মহকুমা আওয়ামী লীগের সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ফলে চিরতরে তার উচ্চ শিক্ষার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের সম্পাদক হিসাবে তিনি জনতার কাতারে নিজেকে বিলীন করে দিয়েছেন। তার সম্পর্কে একজন প্রবীণ শিক্ষক ও সুকবি নলিনী কুমার চক্রবর্তী এক কবিতা লিখে ফেলেন। এর অংশ বিশেষ ছিল নিম্নরূপ:
আওয়ামী লীগ সম্পাদক বি.এ আব্দুল হাই
স্থিরমতি, ত্রস্তগতি, অহংকার নাই।
সুনিপুণ, কর্ম প্রাণ, সুরসিক, সুজন
জনমঙ্গল সাধনায় তার প্রাণপণ।
জনতার নেতা তিনি হঠাৎ হয়ে উঠেননি। ছাত্র জীবন থেকেই জনসেবামূলক কাজে তিনি জড়িত ছিলেন। প্রখ্যাত সাহিত্যিক ড. গোলাম কাদির লিখেছেন ‘সুনামগঞ্জে ‘খাদেমুল ইনসান’ সমিতির একটি শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আব্দুল হাইয়ের ভূমিকা ছিল তাতে প্রবল। তারই অনুরোধে আমি তাতে যোগ দেই। সুনামগঞ্জ পুরাতন হাসপাতালটি শহরের মাঝখানে অবস্থিত হলেও, সে সময় তার রোগীদের অবস্থা ছিল করুণ। রাতের বেলা তাদের খবরাদি নেবার কেউ ছিল না। মারা গেলে পর দিন সকালে তার খবর হত। সমিতির তরুণ সদস্যদের নিয়ে একটি সেবা কমিটি গঠন করে পালাক্রমে হাসপাতালে রোগীদের দেখাশুনার ব্যবস্থা করা হল। আমি তাতে শরীক হয়ে গেলাম। [সূত্র: আপন ভুবন: ড. গোলাম কাদির পৃ: ৪১] আব্দুল হাই সাহেব সুনামগঞ্জ শহরের মেট্টিক পরীক্ষায় বার বার ফেল করা ছাত্রদের বিনা বেতনে পড়িয়ে পাশ করানোর বহু ঘটনা রয়েছে। সুনামগঞ্জ মুন্সেফ কোর্টের প্রাক্তন সেরেস্তাদার রঞ্জিত কুমার রায় তন্মধ্যে অন্যতম। এ ঘটনা তিনি লেখককে নিজ মুখে বলেছেন।
শিক্ষকতা
১৯৫৮ সালে দেশে সামরিক আইন জারি হলে তিনি জীবিকা নির্বাহের জন্য শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নেন। তিনি প্রথমে জয়কলস উজানীগাঁও রসিদিয়া হাই স্কুল পরে শহরের এইচ.এম.পি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দীর্ঘদিন দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তার সময় এইচ.এম.পি জুনিয়র থেকে হাইস্কুলে উন্নীত হয়। এ কাজে স্কুলটি সরেজমিন পরিদর্শন করে যেতে বোর্ড থেকে যারা এসেছিলেন তাঁরা তাঁর সাথে আর্টস কাউন্সিলে বসে আড্ডায় মেতে উঠেন। পরে যখন বলা হলÑ আপনারা পরিদর্শনে যাবেন না? তারা তখন বল্লেনÑ আব্দুল হাই যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেটি আর পরিদর্শনের দরকার কী। সুনামগঞ্জ কলেজে শিক্ষক সংকট দেখা দিলে তাকে বাংলা পড়ানোর জন্য নিয়োগ দেয়া হয়। ফলে সেখানেও তিনি শিক্ষকতা করেন।
সাংবাদিকতা
সুনামগঞ্জ থেকে ‘দেশের দাবী’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয় ১৯৫৬ সালে। তিনি এর সম্পাদক ছিলেন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে এটি বন্ধ হয়ে যায়। সিলেট থেকে প্রকাশিত নওবেলাল পত্রিকার সাথেও তিনি সংশ্লিষ্ট ছিলেন। ১৯৬২ সালে সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত হয় প্রথমে সাপ্তাহিক ও পরে পাক্ষিক সুরমা পত্রিকা। এর সম্পাদনা পরিষদে তিনি জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে তার সম্পাদনায় পত্রিকাটি ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিল। এ পত্রিকা বহু লেখক সাংবাদিক সৃষ্টি করে। যারা সমাজে পরবর্তীকালে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সম্পাদনায় প্রথমে অর্ধ- সাপ্তাহিক ‘দেশের কথা’ ও পরে সাপ্তাহিক ‘সূর্যের দেশ’ নামে দুটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পরবর্তীকালে এগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতিঃ-তিনি ছিলেন একজন নিপুণ অভিনয় শিল্পী। ছাত্র বেলা থেকেই তিনি নাটকে অভিনয় করতেন। শুনেছি পরীক্ষা চলাবস্থায়ও তিনি রাতে নাটক করে সকালে মুখ ধুয়ে পরীক্ষা দিতে যেতেন। তার দাপুটে অভিনয় লোকে আজো স্মরণ করে। এ প্রসংগে ড. গোলাম কাদির জানাচ্ছেন ‘সুনামগঞ্জ কলেজের ছাত্র আব্দুল হাই ও শামসুল হকের সঙ্গে পরিচয় হল। কলেজের নাটক ‘নন্দলালের ফাঁসি-তে নন্দলালের ভূমিকায় আব্দুল হাইয়ের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে গেল। [ড. গোলাম কাদির আপন ভুবন পৃ:৪০-৪১] তিনি শুধু নাটক করতেন না। এর নির্দেশনাও দিতেন। শিল্পী তৈরি করতেন। সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমী (আর্টস কাউন্সিল) গঠনে তার সক্রিয় অবদান রয়েছে। তিনি দীর্ঘকাল শিল্পকলা একাডেমীর সম্পাদক ছিলেন। তারই হাত ধরে ১৯৬৩ সাল থেকে পরপর পাঁচ বছর সুনামগঞ্জ সাহিত্য সাংস্কৃতি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেশের বহু জ্ঞানী গুণী সাহিত্যিক, শিল্পীরা যোগদান করেন।
মুক্তিযুদ্ধঃ-বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু হলে সুনামগঞ্জ লেখক সমিতির পক্ষে ‘জনমত’ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়। তিনি ছিলেন এর প্রধান সম্পাদক। পত্রিকাটি যেদিন প্রকাশিত হয় সে দিন রাতেই পাক সেনারা সুনামগঞ্জ এসে দখল নিয়ে নেয়। এর পর তিনি মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের জন্য ভারতে আশ্রয় শিবিরে চলে যান। দেশ স্বাধীন হলে ফিরে আসেন। এই জনমত নিয়ে দুটি কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করি। তার বহু কর্মকান্ডের মত এ পত্রিকার সাথে আমিও জড়িত ছিলাম। অল্প কিছুদিন আগে আমার ছোট মেয়ের ক্লাসমেট তপন তার এক সঙ্গী সহ আমার সাথে দেখা করতে আসে। এরা দুজনই বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক। এরা ড. মুনতাসির মামুনের তত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধের উপর পি.এইচ.ডি করেছে। তারা জানতে পেরেছে আমার কাছে এ সংক্রান্ত কিছু দলিলপত্র আছে। আমি অনেক খোঁজাখুঁজির পর যখন জনমত পত্রিকার একটি কপি তাদের দেখলাম তখন এরা সাথে সাথে আমার পা ছুঁয়ে সালাম করতে শুরু করল। তারা আমার সাথে ছবি তুললো। পত্রিকাটির ছবি নিলো। হয়তো এটি তাদের গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় সম্পদে পরিণত হবে। ভাবতে ভালই লাগল। তাঁর সান্নিধ্যে থাকার কারণে আমরাও ইতিহাসে স্থান পেতে যাচ্ছি।
সাহিত্যঃ- তিনি সাহিত্য রচনায় আজীবন ব্যস্ত থাকলেও প্রকাশ করতেন খুব কম। তাঁর রচিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে উতলা বাতাসে, হাসনরাজার গান, কি ছিল কি হয়েছে কি হওয়া উচিত, গণী সংগীত, ভাইবে রাধা রমন বলে ইত্যাদি।
পুনরায় রাজনীতি

১৯৭২ সালে তিনি পুনরায় আওয়ামী লীগে সক্রিয় হন ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর হন। তিনি সুনামগঞ্জস্থ বাংলাদেশ সোভিয়েত মৈত্রী সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে পৌরসভার চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন। যেটি প্রত্যাশিত ছিল না। কারণ সদ্য স্বাধীন দেশে যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় সে আওয়ামী লীগই তাকে মনোনয়ন দিয়েছিল। ভাগ্য তাকে সহায়তা করেনি।  তিনি ১৯৮৩ সালে এক স্ত্রী, ৩ কন্যা দীপা (বর্তমানে মৃত) নীপা ও অনুপাকে রেখে মারা যান। ছোট মেয়ে অনুপা এখন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা।
সবশেষে আব্দুল হাই এঁর স্মরণে শেখ সাদীর চার লাইন কবিতা-
গরীবের গোরে দীপ জ্বেলো না
ফুল দিও না কেউ ভুলে
শ্যামা পোকার না পুড়ে পাখ
দাগ না পায় বুলবুলে।
লেখক: জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, লেখক ও গবেষক।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn