সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কিশোরী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনের সে সংবর্ধনায় মেয়েরা অনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মোধন করেছিলেন ম্যাডাম বলে। প্রধানমন্ত্রী তখন মেয়েদের বলেছিলেন, ‘আমাকে নানী বা দাদী বলবা। তোমাদের মতো আমার নাতী-নাতনী আছে।’ তারপর থেকে কিশোরী ফুটবলাররা মনে করেন তারা প্রধানমন্ত্রীর নাতনী। মঙ্গলবার বাফুফে ভবনে বসে সেই স্মরণীয় দিনের গল্প বলছিলেন অনুর্ধ্ব-১৫ দলের দুই শামসুন্নাহার। হংকংয়ে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তিন প্রতিপক্ষের জালে ২৪ গোল দিয়ে। এর মধ্যে ৮ টি করেছেন তহুরা। শামসুন্নাহার (জুুনিয়র) করেছেন এক হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল এবং শামছুন্নাহার (সিনিয়র) করেছেন ৩ গোল। ময়মনসিংহের ধৌবাউড়া উপজেলার পাশাপাশি দুই গ্রাম দক্ষিণ রানীপুর ও মুক্তাগাছার দুই কিশোরী শামসুন্নাহার ও শামছুন্নাহার। দুইজনই কলসিন্দুর স্কুলের শিক্ষার্থী। এক সঙ্গে আছেন প্রথম শ্রেণী থেকে। তৃতীয় শ্রেণীতে ওঠার পর থেকে ফুটবলেও একসঙ্গে হাতেখড়ি তাদের। এক সঙ্গে খেলে বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে নিজেদের স্কুলকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছেন। দেশকে ট্রফি এনে দিয়েছেন সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ ও হংকংয়ে চারজাতি টুর্নামেন্টে।

নিজেদের বেড়ে ওঠা, ফুটবল খেলা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ট্রফি জয়ের গল্পের সময়ই ময়মনসিংহের দুই কিশোরী শোনালো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার নেয়ার কিছু স্মরণীয় কাহিনী। ‘আমি ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বঙ্গমাতা ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছি। সাফ জয়ের পর নিয়েছি। যতক্ষণ তার সঙ্গে ছিলাম, খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সাফ জয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে’-বলছিলেন শামসুন্নাহার (ছোট)। ছোটর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বড় শামছুন্নাহার বললেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের যখন বললেন তাকে নানী বা দাদী ডাকতে, তখন আমরা এক সঙ্গে বেশ কয়েকজন তাকে নানী ও দাদী বলে ডেকেছিলাম তোর মনে নেই?’ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়েদের বলেছিলেন, ‘তোমরা যতবার চ্যাম্পিয়ন হবা, ততোবার সংবর্ধনা দেবো।’ হংকং জয়ের পর কিশোরী ফুটবলাররা আশা করছেন, আবার তারা প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্যে যেতে পারবেন, আবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন, ছবি তুলতে পারবেন।যদি সে সুযোগ পায় তিনমাসে দুটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জয় করা মেয়েরা তাহলে প্রধানমন্ত্রীকে এবার তারা দাদী কিংবা নানীই বলবে। ‘আমরা তো প্রধানমন্ত্রীর নাতনী। তাই আবার দেখা হলে আমরা তাঁকে দাদী কিংবা নানী বলেই ডাকবো’-বলেন বড় শামছুন্নাহার।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn