ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষপান করেছেন বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা মো. আসাদুজ্জামান।
জামালপুরে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক মিথ্যা মামলায় তিন মাস জেল খাটার পর কারাগার থেকে বের হয়ে বকশীগঞ্জ থানার ওসি আসলাম হোসেনকে দায়ী করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষপান করেন আসাদুজ্জামান। বুধবার দুপুরে ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বিষপান করেন তিনি।
তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হল- ‘‘আমি যদি বিষ খেয়ে মারা যাই দয়া করে আমার লাশটা কেটনা আমার এ বুকে আমার আম্মা থাকে। লাশটা কাটলে আম্মা কষ্ট পাবে। আর আমার মরার পেছনে বকশীগঞ্জ থানার ওসি আসলাম স্যার দায়ী। সে আমার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। বিনা অপরাধে ৩ মাস হাজতে রেখেছিল। হাজত থেকে এসে দেখি সেই তিন মাসে আমার সব কিছু হারিয়ে গেছে।’’
দুপুরে এ স্ট্যাস্টাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বিষপান করেন আসাদুজ্জামান। আসাদুজ্জামান বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের নিলক্ষিয়া গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের ভাই। আসাদ নিজেও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন নেতা। আসাদুজ্জামানের ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, আসাদের বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরি হয়েছিল। যোগদানের মাত্র একদিন আগে রাস্তা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। পরদিন ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা সাজিয়ে জামালপুর কোর্টে চালান করে। সেই মামলায় প্রায় তিন মাস তিনি জেলহাজতে ছিলেন। বের হলে সাধারণ মানুষের নানান বঞ্চনার শিকার হতে হয় তাকে। বুধবার দুপুরে তাকে বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন তবে শংকামুক্ত নন। বকশীগঞ্জ থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, কেউ যদি ফেসবুকে লিখে এ ধরনের কাজ করে। তবে আমার কিছু করার নেই। সে সময়কার দায়িত্বরত পুলিশের সদস্যরা তাকে রামদাসহ থানায় ধরে এনেছিল। পরে যথাযথ নিয়মেই তাকে কোর্টে চালান দেয়া হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn