সুনামগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে এক সময়ের প্রবহমান কামারখাল এখন দুইশ প্রভাবশালী অবৈধ দখলদারের দখলে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউসে ‘বন্যা পরবর্তী হাওররক্ষা বাঁধ মেরামত ও সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনা সভায়’ পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই কথা বলেন জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস দিয়ে জরিপ চালিয়েছি। সেই জরিপে দখলদারদের তালিকা উঠে এসেছে। আমরা প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং তাদের উচ্ছেদ করে পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় আছি। সুনামগঞ্জ জেলার ভরাট হওয়া খালের তালিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে জানান তিনি। জেলা প্রশাসক উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় একটি প্রকল্প করে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে অনুরোধ জানান।

জলমহালের খনন কার্যক্রম কঠোরভাবে মনিটরিং হবে

সুনামগঞ্জে উন্নয়ন স্কিমের জলমহালগুলো যথাসময়ে ও যথানিয়মে খনন হয় কি-না তা এবছর থেকে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউসে ‘বন্যা পরবর্তী হাওররক্ষা বাঁধ মেরামত ও সংরক্ষণ বিষয়ে আলোচনা সভায়’ সাংবাদিক ও হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা শামস শামীমের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি উপস্থিত সুধীজনদের এ বিষয়ে আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে উন্নয়ন স্কিম বাদেও হিলিপের জলমহালগুলোও নিয়মিত খনন হয় কি-না তাও নজরদারির কথা জানিয়েছেন। তাছাড়া যেসব সমবায় সমিতির নামে জলমহাল ইজারা নেওয়া হয় স্বচ্ছতা ও প্রকৃত মৎস্যজীবীরা সত্যিই উপকার পাচ্ছেন কি-না তা খতিয়ে দেখার জন্য সমিতির একাউন্টের স্টেইটমেন্ট চাওয়া হয়েছে বলে তিনি আলোচনা সভায় অবগত করেন। তাছাড়া জলমহালে মৎস্যজীবীদের অধিকারের জন্য এলাকায় এলাকায় গণশুনানীর বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn