বার্তা ডেস্ক: ফেনী সদর উপ‌জেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামে বাড়ির ছাদ থেকে তানিসা ইসলাম (১১) নামে কিশোরীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জ‌ড়িত স‌ন্দে‌হে নিহতের চাচাতো ভাই আক্তার হোসেন নিশানকে (১৭) রাতে আটক করেছে পুলিশ। নিশান ওই গ্রামের জা‌মেয়া র‌শি‌দিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী। নিহত কিশোরী সৌদি আরব প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছোট মেয়ে। তারা দুই বোন এক ভাই। তা‌নিসা ফেনী শহ‌রের ম‌হিউচ্ছুন্নাহ মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।

পুলিশের ধারণা, ধর্ষণে বাধা দেয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। লাশের পাশে নিশা‌নের জুতা প‌ড়ে থাক‌তে দেখে তা‌কে স‌ন্দেহ করা হয়। ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এন এম নুরুজ্জামান জানান, সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামের আনোয়ার ড্রাইভারের বাড়িতে তানিসাকে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যা করে। তিনি আরো জানান, খবর শুনে তিনিসহ ফেনী পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান, ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পু‌লিশ সুপার জানান, ঘটনা তদ‌ন্তে ফেনী ম‌ডেল থানা, জেলা গো‌য়েন্দা পু‌লি‌শের পাশাপা‌শি পি‌বিআই ও সিআইডি কাজ কর‌ছে। ‌বেশ কিছু তথ‌্য ও আলামত পাওয়া গে‌ছে। স্বল্প সম‌য়ের ম‌ধ্যেই ঘটনার প্রকৃত রহস‌্য ও জ‌ড়িত‌দের শনাক্ত করা যা‌বে ব‌লে তি‌নি আশা প্রকাশ ক‌রেন। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের চাচাতো ভাই, একই বাড়ির মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে নিশানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ওসি নিজাম আরো জানান, নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও রশি প্যাচানো ছিল। লাশ ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চল‌ছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn