কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে (কুমেক) ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে কলেজ ও হোস্টেল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কুমেকের এক জরুরী সভায় এছাড়াও আরও ৯ ছাত্রকে সতর্ক এবং ৫ ইন্টার্ন ডাক্তারের বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাতে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কুমেক ক্যাম্পাস ও হাসপাতালে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় ইন্টার্ন ডাক্তারদের অনেকেই কর্মস্থল থেকে বেড়িয়ে আসে। রাতে কুমেক ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা যায়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ২য় ব্যাচের ছাত্র হান্নান ও ৮ম ব্যাচের ছাত্র পলাশের নেতৃত্বে কুমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতি পরিচালিত হয়ে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ওই দু’ গ্রুপে সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ শিক্ষর্থীকে আটক করে। পরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিচারের আশ্বাসের মাধ্যমে মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কুমেকের এক জরুরী সভায় ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার, ৯ ছাত্রকে সতর্ক করে মুচলেকা এবং ৫ ইন্টার্ন ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালের পরিচালককে লিখিতভাবে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কুমেকের অধ্যক্ষ ডা. মহসিন-উজ-জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত কুমেক/সভা/২০১৭/২০২৮  নং স্মারকে ৩/৬ মাসের জন্য কলেজ ও হোস্টেল থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কৃত ছাত্ররা হচ্ছেন, ওমর ফারুক, রেদোয়ান হোসেন, প্রনব সাহা. হাসিবুল হক অর্নব, মীর তানভীর, রাহুল হাওলাদার, আনোয়ার হোসেন ও এএসএম আবদুল্লাহ।

রাতে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. নওশাদ আবসার এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. শ্যামল কান্তি ভৌমিক, জানান, এখনো আমরা ধর্মঘটের কোন সিদ্ধান্ত না নিলেও কোন কোন মিডিয়ায় কুমেক হাসপাতালে ধর্মঘটের কথা এসেছে, সন্ধ্যায় মেডিসিন এসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে ইন্টার্ন ডাক্তাররা যোগ দিয়েছিল। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে আমরা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেব। এদিকে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া জানান, ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কয়েকজনকে বহিস্কারও করেছে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মহসিন-উজ-জামান চৌধুরীর মুঠোফোনে জানান, কুমেকের পরিস্থিতি অশান্ত করতে দেয়া হবে না, তাই সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ জন ছাত্রকে সাময়িক বহিস্কার করাসহ  ঘটনার সাথে বিভিন্নভাবে জড়িত অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সংঘর্ষের পর কুমেকের হোস্টেলের ডাইনিং ও মনিটরিং কমিটি ভেঙে দেয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn