মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কাছে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) নেতা আতাউল্লাহ এখন এক আতঙ্কের নাম। সমর্থকদের কাছে তাদের নেতা একজন ‘মুক্তিকামী সৈনিক’। তিনি সৌদি আরবের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে লড়াই করে যাচ্ছেন। তবে সমালোচকরা মনে করেন, তার বেপরোয়া সিদ্ধান্তে বিদ্রোহের কারণে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার জীবন বিপর্যস্ত। ফলে তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য ‘অভিশাপ’।মিয়ানমারভিত্তিক স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞ রিচার্ড হর্সি বলেন, ‘আতাউল্লাহ খুবই ক্যারিশমাটিক। তিনি সবাইকে অনুপ্রাণিত করেন। এমনভাবে কথা বলেন যেন রোহিঙ্গাদের কষ্ট অনুভব করতে পারছেন তিনি।’ ধারণা করা হয়, ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ চেকপোস্টে আতাউল্লাহর নির্দেশেই হামলা চালিয়েছিল আরসা। এর পর সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ।

গত বছর অক্টোবরে এক ভিডিও বার্তায় রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন হিসেবে আরসা ও নেতা হিসেবে নিজেকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন আতাউল্লাহ। ওই সময় মিয়ানমার সীমান্তে একটি হামলা চালিয়েছিল তারা।আরসা নেতার ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ৩০ বছর বয়সেই তিনি একটি বিদ্রোহী সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এক আত্মীয়ের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, তার বাবা করাচিতে দারুল উলুম মাদ্রাসায় পড়াশোনার পর পরিবারসহ সৌদি আরব পাড়ি দেন। সেখানে শিক্ষকতা শুরু করেন তার বাবা। এর পর এক বিত্তশালী পরিবারের নজরে আসেন আতাউল্লাহ। সেই পরিবারের সন্তানদের পড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় তাকে। খুব তাড়াতাড়িই তাদের কাছের মানুষ হয়ে যান আতাউল্লাহ। শুরুতে সৌদি আরব থেকে কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পাকিস্তানে ফিরে যান আতাউল্লাহ। এই টাকায় শীর্ষ জিহাদিদের কাছ থেকে তিনি অস্ত্র, যোদ্ধা ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন বলে করাচিতে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এক জঙ্গি জানিয়েছেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn