আবারো চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা। আগামী বছরের ডিসেম্বরেই কাজটি করতে চায় তারা। তবে এবার এপোলো মিশনের সম্পূর্ণ পৃথক এক কায়দায় চাঁদের মিশন সম্পন্ন করবে প্রতিষ্ঠানটি। এবার পৃথক প্রযুক্তিতে তৈরী ওরিওন স্পেস ক্যাপসুলের ভেতর মানুষ ভরে চাঁদের উদ্দেশে নিক্ষেপ করা হবে। নাসার দাবি, এই প্রযুক্তিতে ভবিষ্যতে মঙ্গলেও মানুষ পাঠাতে পারবে তারা। ইতিমধ্যে তারা মহাসাগরের মাঝে কয়েক দফা মহড়াও দিয়েছে। জানা গেছে, আগে নাসা মহাকাশে অভিযান চালাত স্পেস শাটলের মাধ্যমে। কিন্তু ২০১১ সালে স্পেস শাটল প্রোগ্রাম বন্ধ করে নতুন প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে তারা। যে ক্যাপসুলকে মানুষ বহনের কাজে ব্যবহার করা হবে সেটি কিভাবে চাঁদ পর্যন্ত পৌছাবে এ প্রশ্নে জবাবে নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি এপোলো ক্যাপসুল থেকে বহুগুণে উন্নত মানের। একে একটি স্পেস লঞ্চ সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হবে। এরপর সিস্টেমটি চাঁদের দিকে উড়াল দেবে। চাঁদ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে গিয়ে সিস্টেমটি ওই ক্যাপসুলকে নির্দিষ্ট গতিপথে ছুড়ে মারবে। এরপর স্পেস লঞ্চ সিস্টেম আবার পৃথিবীতে ফিরে আসবে।
 
চাঁদ থেকে ক্যাপসুলটি ফিরে আসবে কিভাবে এ ব্যাপারে নাসা জানিয়েছে, যে স্পেস লঞ্চ সিস্টেম ক্যাপসুলটিকে চাঁদে পৌঁছে দিয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসেছিল সেটি আবার তাকে ফিরিয়ে আনতে যাবে। তবে এটি চাঁদের মাটিতে নামবে না। অনেক উপর থেকে আরেকটি লঞ্চার ছুড়ে দেবে। লঞ্চারটি চাঁদে উড়ে গিয়ে ওই ক্যাপসুলটিকে ধরে আবার ফিরে এসে স্পেস সিস্টেমে যুক্ত হবে। এরপর তারা পৃথিবীর দিকে রওনা হবে। পৃথিবী থেকে কয়েকশ’ কিলোমিটার উচুতে থাকা অবস্থাতেই লঞ্চারটি থেকে ক্যাপসুলটি মুক্ত হয়ে যাবে। এরপর একটি প্যারাস্যুট খুলে যাবে যেন ক্যাপসুলটি ধীরে ধীরে পৃথিবীতে এসে পড়ে। এমন স্থানে ক্যাপসুলটি ছাড়া হবে যাতে এটি কোনো একটি মহাসাগরে এসে পড়ে। আর মহাসাগরে জাহাজ নিয়ে আগে থেকেই তৈরী থাকবে আরেকটি বাহিনী। তারা দ্রুত গিয়ে সাগর থেকে ক্যাপসুলটি তুলে তার মধ্য থেকে মানুষটিকে বের করে আনবে। তবে দেশটির কোনো কোনো মহল নতুন এই অভিযানের সমালোচনা করে বলেছে, এতে আগের মিশনের চেয়ে কয়েক গুন বেশি ব্যয় হবে। এটাকে তারা অপচয় বলে অভিহিত করেছেন। সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।
 
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn