ছাতক উপজেলায় মাতৃত্বকালীন ভাতা গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকিং জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ৬শ’৭৮ জন ভাতাভোগী নারী ভাতা গ্রহণ করতে পারছেন না। বিগত দিনে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে তালিকাভুক্ত ভাতা সুবিধাভোগী নারীরা ব্যাংক থেকে ভাতা উত্তোলন করেছেন। বর্তমানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্থানীয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরকে ভাতাভোগীদের নাম-ঠিকানা ও ভোটার আইডি নম্বরসহ তালিকা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু ছাতক উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় ভাতা উপকারভোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রত্যকটিতে ২৯জন করে মোট ৩শ’৭৭জন ও ছাতক পৌরসভা এলাকায় মোট ৩শ’ জন ভাতাভোগী রয়েছেন। প্রতি ৬ মাস পরপর ৩হাজার টাকা করে দু’বছরে চার কিস্তিতে ১২ হাজার টাকা মাতৃত্বকালীন ভাতা পেয়ে থাকেন তালিকাভুক্ত নারীরা। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের এসব ভাতাভোগীদের নাম-ঠিকানার তালিকা থাকলেও জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর তালিকায় লিপিবদ্ধ করা হয়নি। সুবিধাভোগীরা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সময় নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিগত দিনে দু’দফা ভাতা ভাতা উত্তোলন করেছেন। বর্তমানে ৩য় দফা ভাতা উত্তোলন করতে ব্যাংকে এসে তারা বিপাকে পড়েছেন নারীরা।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস সহকারী লিপি রানী দাস জানান- প্রতিবার যে ভাবে ভাতা গ্রহণ করেছে ঠিক একই ভাবে ভাতাভোগীরা ৩য় দফা মাতৃত্বকালীন ভাতা উত্তোলনের সময় নতুন করে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সকল ভাতাভোগী নারীদের একত্র করে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর সংযোজন করা সময়ের ব্যাপার।মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুমানা ইয়াসমিন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় এই মুহূর্তে ব্যাংক কর্তৃক সৃষ্ট জটিলতা নিরসন করা সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীতে অফিস থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বরসহ তালিকা ব্যাংকে জমা দেয়া হবে।  সোনালী ব্যাংক ছাতক শাখার ম্যানেজার মুহম্মদ আব্দুল জলিল জানান- তিনি এই শাখায় নতুন যোগদান করেছেন। বিগত দিনে যে ভাবে ভাতা প্রদান করা হয়েছে তা অনেকটা অস্পষ্ট। শুধুমাত্র স্বচ্ছতার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের নন্বরসহ ভাতাভোগীদের নাম-ঠিকানা তালিকা আকারে ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়েছে। এখানে ভাতা সংক্রান্ত কোন জটিলতা সৃষ্টি হয়নি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn