ছাতকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক প্রনয় চৌধুরী পিয়াস (২০) হত্যার ঘটনায় থানা পুলিশ এখনও অন্ধকারেই রয়েছে। পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে নিহত চালকের শরীরে হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ৮টি ছুরির আঘাতের দাগের কথা উল্লে¬খ করা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসেবে পুলিশ দাবী করলেও এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে আটক করতে পারেনি। এই হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে উপজেলা জুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
এদিকে, অটোরিক্সা চালক পিয়াসের লাশ ময়না তদন্তের পর শুক্রবার তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অটোরিক্সা চালক পিয়াস ৪দিন নিখোঁজ থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বড়আইল নামক স্থানে পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। চালক পিয়াস দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের খুরমা গ্রামের প্রনব চৌধুরী কুটুর ছেলে। চালক পিয়াস গত রোববার রাতে সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিরাজগঞ্জ বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা বলে বের হওয়ার পর আর কোন খোঁজ মেলেনি। পরদিন সোমবার নিখোঁজ হওয়া চালকের নম্বরবিহীন (অনটেষ্ট) অটোরিক্সাটি থানা পুলিশ উদ্ধার করে।  নিহত চালক পিয়াস নিখোঁজ হওয়ার পর থানা পুলিশের তদন্ত নিয়ে চলছে সমালোচনা। যে চালক পিয়াসকে মুটোফোনে ডেকে নিয়েছিল, এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ। ফলে নিহতের পরিবারের পাশাপাশি এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, চালক পিয়াস নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে থানা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিহত চালক পিয়াসের পরিবারের দাবী অনুযায়ী বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সন্দেহ ভাজনকে আটক করতে পারলে আরো আগেই হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হতো। হত্যা রহস্য উদঘাটন হবে, আর হচ্ছে বলেই পুলিশ সময় পার করছে। ছাতক থানার এসআই সোহেল রানা জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা মুটোফোনের কল লিষ্ট সংগ্রহের অপেক্ষায় আছি। সন্দেহভাজন ২/৩ জনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn