শাহ্ মো. আখতারুজ্জামান-

ছাতকে সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ১০৪টি পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এসব পদ শুন্য থাকায় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। বেশ ক’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ফলাফলের দিকেও পিছিয়ে পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ৮৫টি পদ শূন্য থাকার ফলে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় তুলনামূলক ভালো ফলাফল করতে পারছে না। শিক্ষকদের পদ শূন্য থাকার বিষয়ে আবেদন-নিবেদন করেও সুফল হয়নি। ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়- উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় সরকারীসহ মোট ১৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার ৬টি ও অফিস সহকারীর ২টি পদ শুন্য রয়েছে। ফলে দাপ্তরিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

এছাড়াও গণেশপুর, দারগাখালী, বনগাঁও, রাসনগর, রাজারগাঁও, সিংগেরকাচ, আছাদনগর, রামপুর, কেজাউরা, মনিরজ্ঞাতি, গোবিন্দগঞ্জ, খিদুরা, বাংলাবাজার, কফলা, ঝামক, জিয়াপুর, পুরান সিংচাপইড়, আইনাকান্দি, নওয়াগাঁও, সদুখালী, মহদী, কুরশি, খাগহাটা, মোহাম্মদপুর, যুগলনগর, বসন্তপুর, নরসিংহপুর, ছাতারপই, মন্ডলপুর, জালিয়া, শ্রীপতিপুর, পীরপুর, বিনন্দপুর, বড়পলিরগাঁওসহ ৩৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদশুন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। পাশাপাশি ৪৯টি সহকারী শিক্ষক ও ১১টি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক সংকটে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন মতো পাঠ্য বাইয়ের সিলেবাস শেষ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে এসব বিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত জোড়া তালি দিয়ে চলছে পাঠদান। শিক্ষক শুন্যতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সকল পাঠ্যবই গুলো ঠিক মতো পড়ানো হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সময় মতো পদোন্নতি না থাকায় প্রধান শিক্ষকের পদ বছরের পর বছর শুন্যই থেকে যাচ্ছে বলে সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

শিক্ষক সংকটের বিষয়ে একাধিক অভিভাবক জানান- শিক্ষার্থীদের মেধা মনন ও প্রতিভা বিকাশে উপযুক্ত স্থান প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে যে ভাবে গড়ে তোলা হবে সে ভাবেই তারা গড়ে উঠবে। তাই অবহেলা না করে দ্রুত শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাশ বলেন- শূন্য পদের কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে একাধিকবার আবেদন-নিবেন করা হলেও কোন সুফল হয়নি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn