জগন্নাথপুর ::  জগন্নাথপুর-শিবগঞ্জ-বেগমপুর- আউশকান্দি-ঢাকা আঞ্চলিক মহা-সড়কের জগন্নাথপুর ঘোষগাঁও সংলগ্ন নলজুর নদীর উপর নির্মিত নলজুর সেতুর এপ্রোচের মাটি ধসে যায়।  ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ব্রীজের রাস্তাটি সংস্কার কাজ হয়নি। ফলে ৫দিন ধরে এ সড়ক দিয়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কর্তৃপক্ষের এই নির্লিপ্ততায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার ব্রীজের দক্ষিণ অংশের অধিকাংশ মাঠি নদীতে মিশে যায় এর ফলে ঐ রোডের সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলার ঘোষগাঁও এলাকায় নলজুর নদীর উপর নির্মিত নলজুর সেতুর এপ্রোচের অধিকাংশ অংশ ধসে পড়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার জনসাধারণ চরম দূর্ভোগে পড়েছেন।

উল্লেখ্য, উপজেলাবাসী ঐ সড়ক দিয়ে বেগমপুর হয়ে রাজধানীর সাথে যোগাযোগ করে থাকেন। এছাড়া সুনামগঞ্জ ও সিলেটের অধিকাংশ উপজেলার জনসাধারণ ঐ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। গত বছর শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে নলজুর নদীর উপর নির্মিত ৪৯.১৫ মিটার গার্ডার সেতুর উদ্ভোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম.এ মান্নান। বিগত প্রায় ৬ মাস যাবত ব্রীজের এপ্রোচের মাটি ধসে পড়তে থাকে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকাগুলোতে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ পেলেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার হয়ে আছেন। কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা ও উদাসীনতায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।  এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ’র সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত অবহিত করেছি এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী, সুনামগঞ্জসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। তারা ঢাকার সাথে যোগাযোগ করেছেন অচিরেই রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করা হবে বলে সুনামগঞ্জ এলজিইডি অফিস থেকে আমাকে জানানো হয়েছে।  এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ারের সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, ব্রীজটি দেখে তরিৎ গতিতে সংস্কার কাজ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এখানে মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন তাই একটু বিলম্ব হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি এই জনগুরুত্বসম্পুর্ণ রাস্তাটি চালু করা যায় এ ব্যাপারে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn