জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্টিতব্য সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন দেশের বিভিন্ন মিডিয়া হাউসে কর্মরত ৯ সাংবাদিক। ১১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে অন্যদের পাশাপাশি আলোচনায় রয়েছেন এই সাংবাদিকরাও।  দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভূমিকা রাখবেন তাদেরই সিনেটর হিসেবে বেঁচে নিবেন বলে জানান ভোটাররা। এদিক থেকে সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন বলে জানা যায়। ভোটাররা জানান, বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকরা  বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আর অনেকে এখনো জাতীয় পর্যায়ে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। তাই সিনেটে ২৫টি সিটের বিপরীতে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে  ৯ জন সাংবাদিক আলোচনায় রয়েছেন।  প্রার্থী হিসেবে সেই সাংবাদিকরা হলেন,  ইত্তেফাকের বিজনেস রিপোর্টার মো. রেজাউল হক (কৌশিক), ব্যালট নম্বর (৫৮), সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি মো. মেহেদী হাসান (রাশেদ মেহেদী),ব্যালট নম্বর  (৮৪), আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ব্যালট নম্বর (১১৭), বাসসের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মহিউদ্দিন মো. আবদুল কাদের, ব্যালট নম্বর (৪৮), এসএ টিভির ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট জুনায়েদ আলী সাকী, ব্যালট নম্বর (৬৭), বণিক বার্তার সিনিয়র রিপোর্টার সাহানোয়ার সাইদ শাহীন, ব্যালট নম্বর (১০৭), এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার মো. মুকসিমুল আহসান (অপু), ব্যালট নম্বর (৮৯), চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট মো. মুকিমুল আহসান (হিমেল), ব্যালট নম্বর (৮৮), নিউজবাংলাদেশের সাবেক সিনিয়র সাব এডিটর কাজী জাকির হোসাইন, ব্যালট নম্বর (২০)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই সাংবাদিকরা নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, একজন সাংবাদিক মানুষের জন্য কাজ করার তাড়না থেকে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। অতীতেও সাংবাদিকরা যখন এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে ছিল  তখনও সবসময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় সাংবাদিকরা নির্বাচিত হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কল্যাণে একজন সিনেটর হিসেবে কাজ করবে। সিনেটের মত একটি জায়গায় সাংবাদিক স্থান পেলে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তারা কাজ করতে পারবে। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ছেয়ে গেছে ব্যানার পেস্টুনে। বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও নির্বাচন কমিশনার মনজুরুল হক জানান, সব ঠিক থাকলে সুষ্ঠুভাবে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn