রাশেদা রওনক খান-(ফেসবুক থেকে নেওয়া)-আমি ভাবছি, সামনে আর কি কি হতে যাচ্ছে আমেরিকার এই নির্বাচনকে ঘিরে! আমেরিকার কিছু প্রেসিডেন্সিয়াল রীতি আছে, সেগুলোও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অনুসরণ করবেন কিনা কে জানে!যেমন, আমেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল রীতি অনুসারে নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য একটি নোট রেখে যান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। এ নোটের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই গোপন রাখা হয়, সেখানে কি লিখে যান তা প্রকাশ করা হয়নি কখনো। তবে এ নোট অবশ্যই ইতিবাচক এবং পরামর্শমূলক হয়ে থাকে, সাথে শুভেচ্ছা তো আছেই! কিন্তু ট্রাম্প কি তা করবেন? বিজয়ী ঘোষণা হবার পর পরই আমেরিকার গণতান্ত্রিক চর্চার ঐতিহ্য অনুযায়ী যিনি হেরে যান, তিনি ফোন দিয়ে অভিনন্দন জানান নব্য প্রেসিডেন্টকে, সেখানেও কি কার্পণ্য করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নাকি শেষ পর্যন্ত ফোন দিয়েই দেবেন বাইডেনকে? যাই করুক, করবেন……কেবল হরতাল, নির্বাচন বর্জন, এসব না করলেই হলো! আমেরিকায় আবার কপিরাইট এর বিষয়টি খুব জটিল!!! তখন বাংলাদেশ হতে কোন দলের কেউ কপিরাইট চেয়ে মামলা করে বসলে ঝামেলায় পড়ে যাবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প! বেচারা এমনিতেই নির্বাচন নিয়ে ঝামেলায় আছে, আর মামলার ঝামেলায় না পড়ুক!

সবশেষে, অভিনন্দন নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে! বহু ইতিহাসের জন্ম দিতে যাচ্ছেন এই দুজনই! আসলে তিন জনই!! ট্রাম্পও কি কম ইতিহাস এর জন্ম দিচ্ছেন? কেহ কারে নাহি ছাড়ি সমানে সমান! ২০২৪ সালে না হলেও ২০২৮ সালে হয়তো কামালাকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই করতে দেখা যাবে। হয়তো আমেরিকানরা একজন নারী প্রেসিডেন্টকে স্বাগতও জানাবেন, যেমন জানিয়েছেন আজকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে! অভিনন্দন আমেরিকানদের, লিঙ্গ সমতার দিকে ধীর পায়ে হলেও এগিয়ে যাবার জন্য! হয়তো সেই সময়ে রিপাবলিকান পার্টি হতে নির্বাচন করবে ট্রাম্পকন্যা ইভানকা ট্রাম্প! সেক্ষেত্রে আমেরিকানদের হাতে নারী নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্পও থাকবেনা! আসুক না সেই সময়টি, না হয় আরও কিছু সময় অপেক্ষায় থাকলো বিশ্ব!

 

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn