ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচন স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহম্মেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ও মেয়র পদ যথাযথভাবে গঠিত হয়নি। একই সঙ্গে ভোটার তালিকা চূড়ান্তভাবে এখনো প্রকাশিত হয়নি। এ ছাড়া গত জুলাইয়ে নতুন করে ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। ডিএনসিসির অন্তর্ভুক্ত ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ডিএনসিসি মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন ও নতুন ১৮টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলে বৈধতা চ্যালঞ্জ করে রিট করেন। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার সচিব উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে বিবাদী করা হয়েছে। আরেকটিতে প্রধান নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং দুই সিটিতে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলর নির্বাচনের জন্য গত ৯ জানুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের কথা বলা হয়।

কেন পিছোল ঢাকা উত্তর মেয়রের উপনির্বাচন?

বাংলাদেশে হাইকোর্ট ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে। বিরোধী দল বিএনপি এমন পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছে। একইসাথে দলটি বলেছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকার জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের কোন ঝুঁকি নিতে চাইছে না। তবে আওয়ামী লীগ এসব অভিযোগ নাকচ করেছে। প্রধান এই দুই দলই ঢাকা উত্তরের মেয়র উপনির্বাচনের জন্য তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। ২৬শে ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এবছরের শেষদিকে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু এই উপনির্বাচন করার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতার বিষয় হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত আদালত দুটি রিট আবেদনের শুনানি করে তিন মাসের জন্য ঢাকা উত্তরের নির্বাচন স্থগিত করেছে। ঢাকার ভাটারা এলাকার দুটি ইউনিয়নকে উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় এনে ১৮টি ওয়ার্ড সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সেই ইউনিয়ন দুটির চেয়ারম্যানরা রিট আবেদনগুলো করেছেন। তাদের পক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব চৌধুরী বলেছেন, সম্প্রসারিত এলাকাগুলোর ভোটার তালিকা চূড়ান্ত না করেই তফসিল ঘোষণা করা হয়।


এছাড়া মেয়র পদে মেয়াদের বাকি আড়াই বছরের জন্য উপনির্বাচন হচ্ছে, নতুন ওয়ার্ডগুলোতে মেয়াদ কত হবে তার ব্যাখ্যা নেই। এসব জটিলতা নিয়েই আদালতের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। যদিও এই পরিস্থির জন্য বিএনপির নেতারা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন। একই সাথে তারা বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের বছরে ঢাকা উত্তরের উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে তারা ক্ষমতাসীন দলের সাথে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের লড়াইয়ে নামতে চেয়েছিলেন। সরকার সেই ঝুঁকি নিতে চায়নি বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “জটিলতাগুলো দূর না করেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছিল। ফলে এখনকার পরিস্থিতির দায় নির্বঅচন কমিশনের ওপরই বর্তায়।” “এছাড়া এটাও প্রমাণ হয় যে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। পরিস্থিতির পেছনে সরকারেরও ভূমিকা আছে বলে আমরা মনে করি। কারণ নির্বাচনে হার নিশ্চিত জেনে সরকার একটা সুযোগ নিয়েছে।” যেহেতু বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থার দাবি করে আসছে আর সরকার তা মানছে না, এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদের উপনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সরকারই বা কী ভূমিকা রাখে, সেদিকেই সবার দৃষ্টি ছিল। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদছবির কপিরাইটবিবিসি এছাড়া এই উপনির্বাচনে দলগুলোর জনসমর্থনের প্রশ্নে ফলাফলের একটা প্রভাব রাজনীতিতে পড়তে পারে এমন বিষয়েও আলোচনায় ছিল।

এসব কারণেই রাজনৈতিক অঙ্গনে এই উপনির্বাচনের তাৎপর্য ছিল বলে বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন। তারা বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা এই সুযোগ দিতে চায়নি। তবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব অভিযোগ মানতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, “আমরা যদি নির্বাচন করতে না চাইতাম, তাহলে আমরা প্রার্থীই মনোনয়ন দিতাম না। আমরা গতকালই প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছি। সেখানে বিএনপির এসব বক্তব্য নিয়ে কথা বলার কিছু নেই।” অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার যে অভিযোগ উঠেছে, তা অস্বীকার করে কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন বলেছেন, সব জটিলতা দূর করেই নিয়ম অনুযায়ী ঢাকা উত্তরের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। একই সাথে তিনি উল্লেখ করেছেন এখন আদালতের আদেশ অনুযায়ী মেয়র পদের উপ-নির্বাচন এবং নতুন ওয়ার্ডগুলোর নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত থাকবে।বিবিসি

আওয়ামী লীগ জিততে পারবে না বলেই নির্বাচন স্থগিত’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জিততে পারবে না বলেই স্থগিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে হাজিরা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। সেখানেই ডিএনসিসির উপ-নির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিতের বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জানে এ নির্বাচনে নিশ্চিত তাদের ভরাডুবি হবে। এটা জেনেই নির্বাচন স্থগিত করেছে। নির্বাচনে কমিশনের ব্যর্থতা রয়েছে। তারা কিছু ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণ না করেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।’

নির্বাচন বানচাল সরকার-ইসির যৌথ প্রযোজনা’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাস‌চিব রুহুল ক‌বির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচন বানচাল করা পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা। এটি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যৌথ প্রযোজনা। ঢাকা উত্তর সি‌টি কর‌পো‌রেশন উপ-নির্বাচন নি‌য়ে বর্তমান সিইসি সরকা‌রের নি‌র্দে‌শে আইনি ত্রুটি রে‌খে তফ‌সিল ঘোষণা ক‌রে‌ছেন। এটা সরকা‌রের নীল নকশার অংশ। আজ বুধবার দুপু‌রে নয়াপল্ট‌নে দ‌লের কেন্দ্রীয় কার্যাল‌য়ে এক জরুরি সংবাদ স‌ম্মে‌লনে রিজভী এসব কথা বলেন। এ সময় তি‌নি ব‌লেন, ‘নির্বাচন ক‌মিশ‌নের ত্রু‌টিপূর্ণ তফ‌সি‌লের কার‌ণেই সংক্ষুব্ধরা রিট করার সু‌যোগ পে‌য়ে‌ছেন। আমরা বারবার ব‌লে আস‌ছি নির্বাচন নি‌য়ে বর্তমান সিই‌সি আওয়ামী লী‌গের মাস্টারপ্ল্যা‌নেরই অংশ। কেননা ডিএন‌সি‌সিসহ ঢাকা সি‌টি‌তে য‌দি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহ‌লে ক্ষমতাসীনদের ভরাডু‌বি হ‌বে এটা সরকা‌রি দল জা‌নে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও এ বছর হওয়ার কথা। তাই ঢাকা সি‌টি‌তে বিপুল ভো‌টে পরা‌জিত হ‌লে আওয়ামী লী‌গের জাতকুল কিছুই থাক‌বে না।’
রিজভী ব‌লেন, ‘গত ৯ জানুয়ারি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এখন যিনি প্রার্থী হবেন তিনি জানেন না তিনি ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩শ’ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারা অনুযায়ী মেয়রের পদসহ কর‌পোরেশনের শতকরা ৭৫ ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হলে করপো‌রেশন এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে যথাযথ গঠিত হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ তিনি বলেন, ‘ওই আইন মতে উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড মিলে কাউন্সিলর শতকরা ৭৪ ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। তাছাড়া সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন তারা কতদিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তারা কি পাঁচ বছরের জন্য হবেন, না আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন তা নির্ধারণ করেনি কমিশন। এ সকল ত্রুটির কারণেই রিট করার সুযোগ পেয়েছেন সংক্ষুদ্ধরা।’

ভরাডুবির ভয়ে সরকারের খেলা! : মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটিরর সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, হাইকোর্টে উপনির্বাচন স্থগিত হওয়ার পেছনে সরকারের হাত রয়েছে। সরকার নিজের লোক দিয়ে রিট করিয়ে নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। ভরাডুবির ভয়ে সরকারের কী সুন্দর খেলা! এই উপ-নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফলের গোয়েন্দা রিপোর্ট আগেই সরকারের হাতে এসেছে। এসব রিপোর্টে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির চিত্র ফুটে উঠেছে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনায় এসব কথা বলেন মোশাররফ। স্বাধীনতা ফোরাম এ আলোচনার আয়োজন করে।
আদালতে দুই রিটকারীর একজন বিএনপির ভাটারা থানার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান হলেও ড. মোশাররফ বলেন, সরকার যখন বুঝতে পেরেছে যে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র উপ-নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে, তখন কোর্টে নিজেদের লোক দিয়ে রিট করিয়ে নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের এমন শোচনীয় পরাজয় হবে যে, তাদের প্রার্থীদের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগের যে পরাজয় শুরু হয়েছে, তাদের এই পরাজয় একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত কেউ রুখতে পারবে না, তা অব্যাহত থাকবে। আগামী নির্বাচন নিয়ে মোশাররফ বলেন, মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা নির্বাচনে যাব। তবে শেখ হাসিনার অধীনে নয়।নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারে অধীনে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করবে। স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা এবিএম মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

ডিএনসিসি নির্বাচন আটকে গেলেও করপোরেশনের কাজের ক্ষতি হবে না’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সীমানা নির্ধারণ সংশ্লিষ্ট জটিলতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাচন আটকে গেলেও করপোরেশনের কাজের কোনো রকম ক্ষতি হবে না। আজ বুধবার হাইকোর্টে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে আদেশ দেওয়ার পর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। নির্বাচন স্থগিত প্রক্রিয়ার সাথে সরকার যুক্ত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুনলাম ভোটার লিস্টও করা হয়নি। সীমানাও সেভাবে নির্ধারিত হয়নি, কিছু কিছু বেসিক কারণে রিট হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। স্থগিত হলেও আমাদের কোনো অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে না।’ মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশবাসীকে আপনাদের মাধ্যমে বলতে চাই, এ নির্বাচন না হওয়ার কারণে উত্তর সিটি করপোরেশনের কাজ-কর্মে কোনো রকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মন্ত্রণালয় যদি কোনো ডিফসিয়েন্সি থাকে আমরা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আছি এবং তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাহেব ইন্তেকাল করার পরও সিটি কর্পোরেশন ভালোভাবেই চলছে। প্যানেল মেয়র মহোদয় আছেন, উনি ওনার কমিশনারদের নিয়ে ভালোই চালাচ্ছেন। তবে এতবড় একটা সিটি কর্পোরেশন মেয়রের পদ তো খালি রাখাও সম্ভব নয়।’ বাসস।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn