ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেটের রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে ২৫ জনের মধ্যে ২৪ জনই আওয়ামীপন্থী গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের প্যানেল থেকে বিজয়ী হয়েছেন। একটিতে বিএনপিপন্থী ‘জাতীয়তাবাদী পরিষদ’ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন ভোট গণনা শুরু হয়।গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ থেকে নির্বাচিতরা হলেন- অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, এ.আর.এম এনামুল হক চৌধুরী, এ এইচ এম এনামুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, এ বি এম বদরুদ্দোজা, অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, এম ফরিদউদ্দিন, অধ্যাপক ড. এমরান কবীর চৌধুরী, এস এম বাহালুল মজনুন চুন্নু, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী, নিজাম চেীধুরী, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক মো. আব্দুল বারী, আতাউর রহমান প্রধান, অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ নাসির উদ্দিন, ড. মোঃ লিয়াকত হোসেন মোড়ল, রঞ্জিত কুমার সাহা, রামেন্দু কৃষ্ঞ মজুমদার, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। জাতীয়তাবাদী পরিষদের নির্বাচিত একমাত্র প্রার্থী হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার।

শনিবার সিনেট ভবন, টিএসসি ও শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে এবং ঢাকার বাইরে ২৮টি কেন্দ্রে ৬, ১৩ ও ১৬ জানুয়ারি এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তিনটি প্যানেলে মোট ৮০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্য থেকে ২৫ জনকে সিনেট সদস্য হিসেবে বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৯৭ জন রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট। আওয়ামী লীগ সমর্থিত ‘গণতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদ’ ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ‘জাতীয়তাবাদী পরিষদ’ থেকে ২৫ জনের প্যানেল দেয়া হয়েছে এবার। বাম সমর্থিত ‘প্রগতি পরিষদের’ প্যানেল ছিল ১৫ জনের। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদ বলেন, কোথাও কোনো অভিযোগ আসেনি। সুষ্ঠুভাবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn