সদ্য সমাপ্ত জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) শেষ রাউন্ডে রাজশাহীতে এক দর্শককে পেটানো এবং ম্যাচ রেফারি, আম্পায়ারদের হুমকি-ধামকি দিয়েছেন সাব্বির রহমান। ম্যাচ রেফারির রিপোর্টে উঠে এসেছে গত ২১ ডিসেম্বর সাব্বিরের করা ন্যক্কারজনক কর্মের বিস্তারিত। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে বিসিবিও। ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি পাঠিয়ে দিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে। খুব শিগগিরই বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে হাজির হতে হবে সাব্বিরকে। বড়সড় শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে এ ক্রিকেটারকে। বিসিবির কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল ৪ ধারা ভঙ্গ করেছেন সাব্বির। এ অপরাধের শাস্তি কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা ও ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েক ম্যাচ নিষিদ্ধ। যদিও যোগাযোগ করা হলে গতকাল এ প্রসঙ্গে সাব্বির শুধু বলেছেন, ‘আমি কিছুই জানি না। আমি জানলে পরে আপনাকে জানাব।’ বিসিবির পরিচালক ও বর্তমানে জাতীয় দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন গতকাল এ ঘটনা সম্পর্কে বলেছেন, ‘জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট এসেছে। সাব্বিরেরও বলার কিছু আছে হয়তবা। যাই হয়েছে আমি মনে করি জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়ে কারো গায়ে হাত দেওয়া ঠিক না। অনেকেই তার মতো হতে চায়। তাকে দেখে মানুষ দেখবে শিখবে। সে এমন কাণ্ড ঘটালে বিষয়টি সত্যিই আপত্তিকর।’
এনসিএলের শেষ রাউন্ডে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে স্বাগতিক রাজশাহী-ঢাকা মেট্রো ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ঘটে এ ঘটনা। সেদিন ভেন্যুতে উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা গতকাল বলেছেন, মাঠে নামার সময় গ্যালারি থেকে ১০-১২ বছরের এক কিশোর সাব্বিরকে নির্দেশ করে বাজে শব্দ করেছিল। পরে ‘বল বয়’কে দিয়ে ডেকে এনে ওই দর্শককে মারধর করেন তিনি। আম্পায়ারদের দৃষ্টিগোচর হলে তারা বিষয়টি জানান ম্যাচ রেফারি শওকাতুর রহমান চিনুর কাছে। পরদিন ম্যাচ রেফারির ডাকে ম্যানেজার আকবর আমিনসহ হাজির হন সাব্বির। কিন্তু সেখানেও অভব্য আচরণ করেছেন তিনি। বিরক্তির স্বরেই ম্যাচ রেফারিকে বলেছেন, আমার তাড়া আছে। এখনই বের হয়ে যাব। পরে ম্যাচ রেফারি প্রশ্ন করতেই সাব্বির বলে উঠেন, আপনি মাঠের বাইরে আমারটা দেখার কে? এ বিষয়ে রিপোর্ট করলে অসুবিধা হবে বলেও ম্যাচ অফিসিয়ালদের হুমকি দেন তিনি। সাব্বিরের শৃঙ্খলা ভঙ্গের নজির এটিই প্রথমবার নয়। বিপিএলের পঞ্চম আসরে আম্পায়ারকে গালি দিয়ে জরিমানা গুনেছেন। টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরেও নারী কেলেঙ্কারিতে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছিলেন জাতীয় দলের এ ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তার নামের সঙ্গে রয়েছে তিন ডিমেরিট পয়েন্ট।  
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn