দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভিজিএফের চাল আত্মসাতসহ ২০টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে আবারও অনাস্থা প্রস্তাব করেছেন পরিষদের নয় জন সদস্য। বুধবার ইউএনও বরাবর লিখিতভাবে এই অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করা হয়। অনাস্থা প্রস্তাবকারী সদস্যরা হলেন- ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মঞ্জুরুর হক মঞ্জু, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য রাশেদ মিয়া, ৩ নং ওয়ার্ডেও সদস্য লাল মিয়া, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য শেখ ফরিদ, ১ নং ওয়ার্ডের সদস্য গোলাম রব্বানী, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুর রহমান চেšধুরী, ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মিলন মিয়া, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য শিমুল মিয়া ও ১ ও ২নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জাহানারা বেগম।

এর আগে পরিষদের আটজন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব করা হয়। তখন উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে সমঝোতার বৈঠকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসের অঙ্গীকার নামার শর্তে আপোষ মিমাংসা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান শর্ত ভেঙ্গে পুনরায় ভিজিএফের চাল আত্মসাতসহ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে পরিষদের নয় সদস্য আবারও চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে অনাস্তা প্রস্তাব করেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বিজিএফের চাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র লোকজনের মধ্যে বিতরণ না করে  ৩০ বস্তা চাল আত্মসাত করেন। প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পাওয়া গেলে প্রশাসনের চাপের মুখে তা ফেরত দিতে বাধ্য হন এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পরিষদের সদস্যরা।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn