তাজুল ইসলাম-

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পালিয়ে এসে আটক নববধু ফাহিমা বেগম (২২) ও ইসলাম উদ্দিন (৩৮) কে থানায় সোপর্দ না করে জিম্মায় ছেড়ে দেয়ায়এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। জানা যায়, গত ৮ মার্চ সিলেট সদর উপজেলার আমানতপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র আঙ্গুর মিয়া (২৭) এর সাথে একই উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের মৃত সৈয়দুর রহমানের তালাকপ্রাপ্তা মেয়ে ফাহিমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মাসখানেক যেতে না যেতেই নববধু ফাহিমা পরকীয়ার টানে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের পুটামারা গ্রামের মৃত ইজ্জত উল্লা ভলার পুত্র ইসলাম উদ্দিনের হাত ধরে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসে। অবশেষে গত রবিবার ইসলাম উদ্দিনের আত্মীয় সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ২নং নরসিংপুর ইউনিয়নের কালাপশী গ্রামের আব্দুছ ছত্তারের বাড়িতে আশ্রয় নেন প্রেমিকযুগল। এর দু‘দিন পরেই তাদের আত্মগোপনের বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে গ্রামবাসী মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদে তাদেরকে সোপর্দ করেন।

এসময় ভিকটিম ফাহিমা তার প্রেমিক ইসলাম উদ্দিনকে নির্দোষ বলে দাবি করে এবং সে নিজেই তার হাত ধরে পালিয়ে এসেছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ভিকটিম ফাহিমা। অপরদিকে, খবর পেয়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিতে ওইদিন বিকালেই উভয়পক্ষের লোকজন ছুটে আসেন নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদে। তখন ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ উপযুক্ত প্রমাণাদীসহ ভিকটিম ফাহিমাকে তার আপন ভাই জামাল মিয়া ও তার চাচা মতিউর রহমানের জিম্মায় এবং ইসলাম উদ্দিনকে সিলেট সদর উপজেলার ২ নং হাটখোলা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য তৈয়বুর রহমান বিরাই এর জিম্মায় হস্থান্তর করেন।

এসময় উভয়পক্ষের জিম্মাদারের কাছ থেকে তাদের স্বাক্ষরিত দুটি লিখিত কাগজ রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ। এক প্রশ্নের জবাবে থানায় সোপর্দ না করে আপস মীমাংসায় বিষয়টি নিস্পত্তির লক্ষ্যে উভয়পক্ষের সম্মতিতে তাদের নিকটাত্মীয় ও জনপ্রতিনিধির জিম্মায় তাদেরকে হস্থান্তর করা হয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ। উল্লেখ্য, নববধু ফাহিমা বেগম পরকীয়ার হাত ধরে পালিয়ে আসায় বর আঙ্গুর মিয়ার পক্ষ থেকে একটি গুম মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn