আল-হেলাল-

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বিক্ষোভ করেছে ভিজিএফ বঞ্চিত নারী পুরুষেরা। মঙ্গলবার উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হাওরের বোরো ফসল হারা প্রান্তিক,ক্ষুদ্র ও দরিদ্র চাষীরা তাদের নামে (ভিজিএফ তালিকাভুক্ত) বরাদ্দের নগদ ৫০০ টাকা ও ৩৮ কেজি চাল না পাওয়ায় উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিতভাবে বঞ্চিতদের তালিকা জমা দেন। ফতেপুর ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগীরা জানান ভিজিএফ তালিকাভুক্তদের অনেকেই প্রাপ্য ভিজিএফের চাল ও নগদ টাকা পাননি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের দেয়া ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা অনুযায়ী খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফতেপুর ইনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুল হেকিম হাওরের ফসলহারা প্রান্তিক,ক্ষুদ্র ও দরিদ্র চাষীর নাম ভিজিএফ তালিকাভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেন। পরে নির্ধারিত দিনে চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু সুবিধাভোগীদের নাম তালিকাভুক্ত করলেও সুবিধা বঞ্চিত হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থদের অনেকেই। অনুসন্ধানে জানা যায়,ভিজিএফ তালিকাভুক্ত (মাস্টাররোলভুক্ত) ক্ষতিগ্রস্ত সুবিধাভোগী কাটাখালি গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে আলম মিয়া (৪০) চাল ও নগদ টাকা কোনটিই পাননি। আলম মিয়ার অভিযোগ তালিকা হয়েছে শুনেছি কিন্তু আমার নামের টুকা (টোকেন) অন্যজন টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে গেছে। মেম্বার বিভিন্ন লোকের নিকট বিক্রি করেছে। তালিকাভুক্তদের আরো যারা চাল ও নগদ টাকা পাননি এরা হলেন একই ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের হাজির মিয়ার ছেলে আয়াত আলী (৩৯),মজর আলীর স্ত্রী হাজেরা (২৬),আরফান আলীর স্ত্রী ফুলবানু (৩৫),ছিফত উল্লাহর ছেলে আব্দুল মতলিব (৬৫),আব্বাছ আলীর স্ত্রী রবিফুল (৫০),ছিফত আলীর ছেলে আব্দুল মতলিব (৬৮),আব্দুজ জহুরের ছেলে লিলু মিয়া(৩০),আব্দুস সালামের স্ত্রী ছুফিয়া বেগম(৫৫),আব্দুল খালেকের ছেলে গিয়াস উদ্দি ন(৬৫),আবুল হোসেনের ছেলে মাশুক মিয়া (৫০),আলী হোসেনের স্ত্রী কোকিলা নেছা (৪৮),আব্দুল মনাফের স্ত্রী আয়রুন নেছা (৫০),আব্দুস সালামের ছেলে ওয়াহিদুল (৩২),রেনু মিয়ার ছেলে জসিম মিয় া(২৭),ফুলভরী গ্রামের আব্দুন্নূরের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩২) তজুমুল মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া (৩০),মিযাজুর রহমানের ছেলে লুৎফুর রহমান (৩৮) মোবারক আলীর ছেলে আলা উদ্দিন (৬৫),ফজর আলীর ছেলে আব্বাছ আলী (৩৮),পিরিজপুর গ্রামের দেবেন্দ্র’র ছেলে দেবল ভট্টাচার্য (৩৪) সহ অনেকে ভুক্তভোগীরা বলেন,আমাদের নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে ঠিকই কিন্তু আমরা চাল ও নগদ টাকা পাইনি। শুনেছি অনেক লোক টাকা দিয়ে আমাদের নামীয় চালের স্লিপ মেম্বারের কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন।

মুঠোফোনে ইউপি সদস্য আব্দুল হেকিমের সাথে যোগাযোগ করে তার সংযোগটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রনজিত চৌধুরী রাজন বলেন আমি এ দায় নেব না। তারা তালিকা তৈরী করে দিয়েছে। স্লিপ তারাই বন্টন করেছে। যদি কেউ স্লিপ না পেয়ে থাকে তাহলে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া সুলতানা বলেন তদন্ত কমিটি গঠন করা হযেছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn