ধর্মপাশা উপজেলায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে লঞ্চ ডাকাতি মামলার আসামীদের হামলায় একই পরিবারের শিশু,যুবতী,বৃদ্ধা মহিলাসহ ১১ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার সুখারই রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের লালন বাড়ি গ্রামের পাওনাদার কাবিল মিয়ার বসত বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন লালনবাড়ী গ্রামের কাছু মিয়ার শিশু কন্যা হাপসা (১২),নাসিমা বেগম (২০), ছেলে রেজাউল (২২), সুজাউল (১৮), স্ত্রী রেফা বেগম (৭০), মৎস্যজীবি কৃষক কাবিল মিয়া (৫০),কাবিল মিয়ার ছেলে শাহ আলম (২০) মেয়ে সোমা বেগম (১১) পুত্রবধু তাকমিনা বেগম (১৮), একই গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে নাছির নুর (১২) ও শফিকুল ইসলাম (২৫) এবং তার স্ত্রী আসমিনা বেগম (৫০) প্রমুখ। গুরুত্বর আহত কাবিল মিয়া ও শাহ আলমকে প্রথমে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের অবস্থার অবনতি দেখে রাতেই তাদেরকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। পরে ভোর রাতে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডাক্তার কাবিল মিয়ার রগ কাটার কারণে কাবিল মিয়াকে সিলেটস্থ এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। অপর ৯ জনকে ভর্তি করা হয় ধর্মপাশা হাসপাতালে । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ছয় বছর পূর্বে মৎস্যজীবি কাবিল মিয়ার কাছ থেকে একই গ্রামের লাল মিয়া বোরো জমি বন্দক রেখে ২ বছরের চুক্তি করে ডকুমেন্টের মাধ্যমে নগদ ১ লক্ষ দশ

হাজার টাকা ধার নেয়। পাওনাদার টাকা চাইলেই দেই দিচ্ছি বলে লাল মিয়া সময় ক্ষেপন করে। পরে হঠাৎ একরাতে লাল মিয়া টাকা না দিয়ে পরিবার নিয়ে সিলেট চলে যান। দীর্ঘ ছয় বছর পর লাল মিয়া গত ২ জুন শুক্রবার নিজ গ্রামের বাড়ি রাজাপুর আসেন। তখন খবর পেয়ে পাওনাদার কাবিল মিয়া পাওনা টাকা চাওয়া মাত্রই কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জলিল মিয়ার হুকুমে লাল মিয়া, জায়েদ আলী, নুর আমিন, শাবেদ আলী, কামাল তার ছেলে ইয়াছিন আলী, টিটু মিয়া, হাবি রহমান তার ছেলে আব্দুর রশিদ, হারুনুর রশিদগং দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারি কুপিয়ে তাদেরকে গুরুতর জখম করে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে ধর্মপাশা থানার অফিসার ইনর্চাজ  ঘঁটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে সুখারই রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমানুর চৌধুরী জানান, পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে লালনবাড়ি গ্রামে হামলার ঘঁটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘঁটনাস্থলে গিয়ে গুরুত্বর আহত কাবিল মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠাই। পরবর্তীতে গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঘটনাটি সমাধান করার চেষ্টা করবো।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn