ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে ‘অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশের’ অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ব্লগার আসাদুজ্জামান নূরের (আসাদ নূর) জামিন হয়নি।  মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাইফুল ইসলাম জামিন আবেদন নাকচ করে তার আইনজীবীদের উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।  গত ২৫ ডিসেম্বর নূরকে (২২) বরগুনার আমতলী থানায় দায়ের করা মামলায় নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। পরদিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। গত ৪ জানুয়ারি ব্লগার নূর জামিন করলে বিচারক ১৬ জানুয়ারি শুনানির দিন রেখেছিলেন। মঙ্গলবার ব্লগার আসাদুজ্জামান নূরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী পারভেজ হাশেম এবং জীবনানন্দ চন্দ জয়ন্ত। শুনানি নিয়ে বিচারক আইনজীবীদের জামিন বিষয়ে হাই কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জামিন দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বরগুনার আমতলী উপজেলার ইসলামিক আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মুফতি ওমর ফারুক গত বছর ৯ জানুয়ারি জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে লিমন ফকির (২৪) ও আসাদুজ্জামান নূরকে আসামি করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭  ধারায় এই মামলা দায়েরের আবেদন জানান। বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বৈজয়ন্ত বিশ্বাস বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে আমতলী থানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। পুলিশ ওই আরজি এজাহার হিসাবে গ্রহণ করে নথিপত্র বরগুনার আদালতে পাঠিয়ে দেয়। লিমন ফকিরকে গত বছরের ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি গতবছরের ২ মে বরগুনায় একজন হাকিমের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে গত ১২ অগাস্ট তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগপত্র দেন আমতলী থানার ওসি মো. সহিদউল্যাহ। এরপর মামলাটির নথি সাইবার ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ-এ বিচারের জন্য নেওয়া হয়। আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে গত ২৯ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক, এরপর ২৫ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :Share on FacebookShare on Google+Tweet about this on TwitterEmail this to someoneShare on LinkedIn